নয়াদিল্লি: অন্যান্য দেশের মতো ভারতে ইভিএম তৈরির ক্ষেত্রে বেসরকারি কোনও সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এছাড়া নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো হওয়ার কারণে কোনও ব্যক্তির পক্ষে ইভিএম কারচুপি করা সম্ভব নয়৷ দেশব্যাপী ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়া বিবৃতি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের৷
লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তুলে আসছিল বিরোধীরা। ভোটের পরও তা অব্যাহত৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইভিএম নয় ব্যালট চাই’ ডাক দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে কারসাজি হয়েছে বলেও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷ ২০১৯-এর নির্বাচনে ভোট গ্রহণের মেশিনে আগে থেকেই কারচুপি করে রেখেছিল বিজেপি, প্রকাশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন৷ ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইভিএমে ভোট চুরি তথ্যকে সামনে রেখে ১৯-এপ নির্বাচনকে ‘রহস্য’ বলেও আখ্যা দেন৷ নির্বাচনে ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবিও তোলেন৷
এই অবস্থায় মানুষের মধ্যে যাতে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফেসবুক পোস্ট৷ সেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে, ইভিএম বেসরকারি সংস্থা তৈরি করে৷ আসল সত্য হল, পারমাণবিক শক্তি মন্ত্রকের অন্তর্গত ইসিএল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিপিএল ইভিএম মেশিন তৈরি করে৷ পুরো কাজটি হয় সিসিটিভি নজরদারিতে৷ ফলে কারও পক্ষে ইভিএম কারচুপি করার সুযোগ থাকে না৷