নয়াদিল্লি: দেশে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আট দফা ভোট নিয়ে কমিশনকে তুলোধোনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট৷ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত।’’ এমনকী ‘সঠিক পদক্ষেপ করা না হলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেব,’ বলেও হুঁশিয়ারে দেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই ভর্ৎসনার পরেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে নির্বাচন কমিশনের আবেদন, বিচারকরা মৌখিকভাবে যা বলছে, সেই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমগুলি যেন রিপোর্ট প্রকাশ না করে৷
আরও পড়ুন- #ExitPolls: কার সরকার পুদুচেরিতে? বাজিমাত করবে কে?
মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনের পর সারা দেশে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল৷ নড়চড়ে বসেছিল কমিশনও৷ এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের কাছে কমিশনের এই আবেদন তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ এদিন নির্বাচন কমিশন নিজেদের আবেদনে জানায়, ‘‘বিচারকরা মৌখিকভাবে যে বিবৃতি দিচ্ছেন, তা যেন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত না হয়।’’ প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন দিশেহারা অবস্থা তখন রাজনৈতিক সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট৷ করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য কমিশনকেই দুষেছিলেন বিচারপতি৷ সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, ‘‘কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত।’’ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামামূর্তির বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, ‘‘যখন সামাজিক দূরত্ববিধি ঘুচিয়ে ভোট প্রচার চলছিল, তখন আপনারা কি অন্য গ্রহে ছিলেন?’
এদিন কমিশন জানায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হাইকোর্টের মৌখিক রিপোর্টে নির্বাচন পরিচালনার সাংবিধানিক দায়িত্ব অর্পিত একটি স্বাধীন সংস্থা হিসাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি কলুষিত করা হয়েছে৷’’ কমিশন আরও জানায়, আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে খুনের অভিযোগে ডেপুটি ইলেকশন কমিশনারের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ করা হয়েছে৷