যোগীর ‘ঘাটতি নেই’ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত ৮

যোগীর ‘ঘাটতি নেই’ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে মৃত ৮

আগ্রা: তাহলে কি দিনকে রাত আর রাত থেকে দিন বলার এটাই আদর্শ উদাহরণ? সারাদেশে যখন বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা মারা যাচ্ছেন, ঠিক তখন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্পষ্ট দাবি করেছিলেন যে তাঁর রাজ্যে কোথাও অক্সিজেনের আকাল নেই। এই ঘোষণা করার একদিনের মধ্যে ৮ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে! ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রার পারস হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আগ্রার পারস হাসপাতালের ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী মারা গিয়েছেন, প্রত্যেকেই অক্সিজেনের অভাবে। হাসপাতালের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে নোটিশ যেখানে লেখা রয়েছে, “অক্সিজেন আউট অফ স্টক”। অতএব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে এবং যার কারণে রোগী পর্যন্ত মারা যাচ্ছে। এই অক্সিজেনের ঘাটতি কথা স্বীকার করে নিয়েছে একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে তাঁর রাজ্যে অক্সিজেনের কোন অভাব নেই। যোগী দাবি করেছেন, সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের কোন অভাব নেই, শুধুমাত্র কালোবাজারি আটকাতে গিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে সমস্যা যে আরো অনেক বড় তা অবশ্যই বোঝা যাচ্ছে যে ঘটনা ঘটছে তার প্রেক্ষিতে।

ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের একাধিক বিজেপি সাংসদ এবং মন্ত্রীরা যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যকে সমর্থন না করে প্রবল বিরোধিতা করেছেন। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য যে রাজ্যে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব রয়েছে কিন্তু এই ব্যাপারে সরকার উদাসীন। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজের কাজ নিয়ে শুধু গর্ব করে যাচ্ছেন, সেটিও ফাঁকা গর্ব! তাদের দাবি, রাজ্যের একাধিক জায়গায় হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে এবং রোগী মারা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে যে হাসপাতালে করোনাভাইরাস বেড খালি থাকলেও রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না কারণ কর্তৃপক্ষের অনেকে ছুটিতে রয়েছে! এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে উত্তরপ্রদেশকে ‘করোনা প্রদেশ’ বলে আক্রমণ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 14 =