বিএসএফের সাহায্য নিয়ে গরু পাচার, চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য দিল ইডি

নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডল, আবদুল লতিফ ও এনামূল হক, তিনজন মাথা আর বিএসএফ-এর সাহায্য নিয়ে চলত দেদার গরু পাচার। সম্প্রতি এই মামলায় চার্জশিট পেশ করে এমনটাই দাবি করেছে ইডি। অনেক আগে সিবিআই তাদের চার্জশিটে দাবি করেছিল যে, এনামূল হক ও তার সহযোগীরা পাচারে বিএসএফের সাহায্য নিয়েছিল। বর্তমানে ইডিও দাবি করছে, বিএসএফের একাংশের মদতেই বাংলাদেশে পাচার হত গরু। কীভাবে তা করা হত সেই তথ্যও তারা চার্জশিটে উল্লেখ করেছে।
আদালতে ইডি দাবি করেছে, পুরোনো তারিখে বিক্রির রশিদ ইস্যু করতে পশু হাটের মালিকদের প্রভাবিত করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তারাই সেই নির্দেশ অনুযায়ী এনামূল হকদের গরু দিত। এরপর মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তের ৭-৮ কিলোমিটার আগে এনামূলের সুরক্ষিত জায়গায় সেই গরুগুলি রাখা হত। রাতে বর্ডারে গরু পৌঁছলে বিএসএফের একাংশ নির্দিষ্ট করে দিত কোন বর্ডার আউট পোস্ট থেকে কখন গরু পাচার হবে। সেই অনুযায়ী হত কাজ। এদিকে ট্রাক ড্রাইভারের যাতে গরু নিয়ে বর্ডারে আসতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য তাদের আলাদা টোকেন দেওয়া থাকত।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, গোটা প্রক্রিয়া চলাকালীন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন থেকে অনুব্রতর সঙ্গে লতিফ ও এনামূলের নিয়মিত কথা চলত। সায়গল নাকি নিজে এই কথা জেরায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে ইডি। ইলামবাজার, হুগলি-সহ একাধিক পশু হাট থেকে গরু সংগ্রহ করা হত বলেও জানা গিয়েছে।