নয়াদিল্লি: অনলাইন গ্রাহকদের জন্য সুখবর৷ দ্বিতীয় দফার লকডাউন নির্দেশিকায় ছাড় দেওয়া হল তথ্য প্রযুক্তি এবং ই-কমার্সকে৷ আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি দ্রব্যের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর৷
করোনাসংক্রমণের জেরে লকডাউন পরিস্থিতিতে এই অনলাইন সংস্থাগুলিকে কেবলমাত্র খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ পণ্য সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল তাদের৷ তবে নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ২০ এপ্রিল থেকে সীমাবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ অঞ্চল, হটস্পট আর রেড জোন ছাড়া দেশের সর্বোত্র সব ধরনের জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল এবং পেটিএম মল৷ পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না৷ তবে হটস্পট বা রেড জোন অঞ্চলে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসা ই-কমার্স যানগুলিকেই অনুমতি দেওয়া হবে।
ল্যাপটপ হোক বা আপনার বাচ্চার পড়াশোনার জন্য ট্যাবলেট, বাড়িতে পৌঁছে দেবে অনলাইন দোকানের ডেলিভারি বয়৷ ২০ এপ্রিল থেকে নতুন উদ্যমে ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ফ্লিপকার্ট, পেটিএম মল এবং স্ন্যাপডিলের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলি৷ সংশোধিত নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধের পাশাপাশি অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেয় কিনা, সেই অপেক্ষায় ছিল অ্যামাজন৷ সরকারের এই ছাড়পত্রে শুধুমাত্র ই-কমার্স সংস্থাগুলি ব্যবসায়িক ক্ষতির হাত থেকেই রক্ষা পেল না, সংস্থাগুলির কর্মীদেরও উপার্জনের পথ খুলে গেল৷
সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় পণ্যগুলি কেনার সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে৷ স্থানীয় দোকান, রিটেল স্টোর বা ই-কমার্স সংস্থার মাধ্যমে সেগুলি ডেলিভারি করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করেই চলবে সমস্ত কর্মকাণ্ড৷ পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকে দু’জন চালক এবং একজন সহকারি থাকার অনুমতি মিলবে৷ ট্রাক খারাপ হলে তা মেরামতের জন্য হাইওয়ের ধরে গাড়ি সারাইয়ের দোকানগুলি খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে৷ খোলা থাকবে ধাবা৷