eci
নয়াদিল্লি: যে কোনও ভোট হোক না কেন, দেশে একাধিকবার ইভিএম-এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীরা ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলে এসেছে। কিন্তু আদতে কি তেমনটা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর বহুদিন ধরে অনেকেই খুঁজেছে, কিন্তু শত তর্ক হলেও তার পোক্ত উত্তর মেলেনি। এবার হয়তো মিলল। কারণ সুপ্রিম কোর্টে বড় দাবি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। দেশের শীর্ষ আদালতে এক হলফনামায় তারা তাঁদের যুক্তি স্পষ্ট করেছে।
সর্বোচ্চ আদালতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পরিষ্কার দাবি, ইভিএমে কারচুপি হয় না বা ‘হ্যাক’ করা যায় না। তারা জানিয়েছে, ইভিএম সম্পূর্ণরূপে একক একটি মেশিন। ওই মেশিনে এককালীন প্রোগ্রামেবল চিপ রয়েছে। সেগুলিকে নিয়ে বাইরে থেকে কোনও কাটাছেড়া করার কোনও উপায় নেই। একই রকমভাবে ভিভিপ্যাট-এর নকশাও নতুন করে করা যায় না। দেশের ২১টি বিরোধী দল সুপ্রিম কোর্টে ইভিএম সংক্রান্ত যে মামলা করেছিল সেই মামলার প্রেক্ষিতেই সাড়ে চারশো পাতার এই হলফনামা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
লোকসভা নির্বাচন তো বটেই, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এই ইভিএম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, কোনও রাজ্যে যদি বিরোধীরা জেতে তখন আর তারা ইভিএম বা ভিভিপ্যাট নিয়ে কথা বলে না। এই নিয়ে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক তরজা চলেই যাচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই হলফনামার পর আর এটা নিয়ে আলোচনা হবে না বলে ধারনা একাংশের।