করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি! কমিশনের জবাব তলব

করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি! কমিশনের জবাব তলব

 

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি কেন থাকবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে যেমন আক্রমণ করেছেন, একইসঙ্গে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। প্রত্যক্ষভাবে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলেছিলেন তারা। এই প্রেক্ষিতে এবার অস্বস্তিতে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে এই ব্যাপারে জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের মূল দাবি, নির্বাচনে নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাবার পর এই ঘটনা আদর্শ আচরণবিধি লংঘন করছে।

আরও পড়ুন- একুশের কুরুক্ষেত্রে গেরুয়া টিকিট কাদের পকেটে? দেখুন সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা

এই বিষয়ে সরাসরি কমিশনের তরফে কিছু না জানানো হলেও সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে কিনা। তবে আপাতত এই মুহূর্ত পর্যন্ত ছবি সরানোর বিষয়ে কোনো রকম নির্দেশ বা মন্তব্য করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। আর যেহেতু পশ্চিমবঙ্গ থেকে অভিযোগ জমা পড়েছে তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনা ভাইরাস টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকা নিয়ে টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানিয়েছিলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, এদিকে করোনাভাইরাস টিকাকরণের ডকুমেন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি জ্বলজ্বল করছে।” সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে এই ব্যাপারটি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন-  এভাবেও ঘর বাঁধা যায়! বেঁচে থাক ভালোবাসা! বিবাহ বন্ধনে অ্যাসিড আক্রান্ত

অন্যদিকে, দু’দিন আগেই রাজ্যের নির্বাচন আধিকারিকের কাছে গিয়ে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন, ফিরহাদ হাকিম, বিশ্বানর চট্টোপাধ্যায় সহ প্রমুখ। অভিযোগ জানানো হয়, যে পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সমস্ত রাজ্যে যে করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ছবি রয়েছে। কেন তাঁর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর ছবি অবশ্যই দেওয়া যেতে পারে কিন্তু, তিনি নির্বাচনে ক্যাম্পেইনিং করতে আসছেন যেহেতু, তাই তাঁর ছবি দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × four =