নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের দিশাহীনতা, পরিকল্পনাহীনতার দিকে যখন আঙুল তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল, তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের একের পর এক মন্তব্যও সাড়া ফেলে দিয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মানসিক চাপ কমাতে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। এর আগে মার্চ মাসে যখন করোনার দ্বিতীয়বার থাবা বসাচ্ছে, তখনও হর্ষ বর্ধন দাবি করেছিলেন, ভারত করোনাকে জয় করছে। আর এবার দেশজুড়ে যখন মৃত্যুমিছিল চলছে, তখন তাঁর ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তাঁর এই একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হলেও, হর্ষ বর্ধনের ডায়েট চার্টে ফল, বাদাম, হলুদ দেওয়া দুধ-সহ আরও অনেক খাবারের উল্লেখ রয়েছে।
নিজের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে হর্ষ বর্ধন গত ৯ মে পোস্টটি করেছেন। সেখানে ২টি গ্রাফিক্স পোস্ট করেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মাই গভ’, ‘মেরা সরকার’-এর লোগোও ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দ্বিতীয় গ্রাফিক্সটির ২ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে ৭০ শতাংশ কোকো যুক্ত ডার্ক চকোলেট খান অল্প মাত্রায়’৷ আর সেই পয়েন্টটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। বায়োএথিক্সের একজন গবেষক অনন্ত ভান যেমন সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, ‘করোনার ক্ষেত্রে এমন বক্তব্যের কী প্রমাণ আছে?’ অনন্ত ছাড়াও অনেকেই হর্ষ বর্ধনের এই বক্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ চেয়েছেন।
তবে ডার্ক চকোলেট ছাড়াও ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানের জন্য নানা রকম ফল, সবজি খেতে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। হলুদ মিশ্রিত দুধ দিনে একবার খাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও আখরোট, আমন্ড, অলিভ অয়েল, সর্ষের তেল, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, পনির, সোয়া, বাদামও খেতে বলেছেন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নিয়মিত তরল খাবার এবং রাগি, ওটসের মতো পুষ্টিকর খাবার রাখতে বলেছেন খাদ্য তালিকায়৷ এর আগে করোনা চিকিৎসায় পতঞ্জলির করোনিল ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন হর্ষ বর্ধন। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর করোনা ‘ব্যর্থতা’ নিয়েই বেশি সরব সোশ্যাল মিডিয়া।