টাকার অভাবে থমকে বায়ুসেনার জেট সংস্কারের কাজ

নয়াদিল্লি: বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ১২০ টি গ্রাউন্ড স্ট্রাইক স্পেশালিষ্ট ফাইটার জেট জাগুয়ার সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ৪০ টি জাগুয়ারকে ভারতীয় বায়ুসেনা ২০২০ এর মধ্যে অবসরে পাঠাবে। বাকি চার স্কোয়াড্রন জাগুয়ার ফ্লিটকে (৮০ টি জাগুয়ার) বিভিন্ন আপগ্রেডেশন (অ্যাভোয়েনিক্স, এইএসএ রাডার, ইঞ্জিন) করে তাদের ২০৩৫ অবধি সার্ভিসে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে

টাকার অভাবে থমকে বায়ুসেনার জেট সংস্কারের কাজ

নয়াদিল্লি: বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ১২০ টি গ্রাউন্ড স্ট্রাইক স্পেশালিষ্ট ফাইটার জেট জাগুয়ার সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ৪০ টি জাগুয়ারকে ভারতীয় বায়ুসেনা ২০২০ এর মধ্যে অবসরে পাঠাবে। বাকি চার স্কোয়াড্রন জাগুয়ার ফ্লিটকে (৮০ টি জাগুয়ার) বিভিন্ন আপগ্রেডেশন (অ্যাভোয়েনিক্স, এইএসএ রাডার, ইঞ্জিন) করে তাদের ২০৩৫ অবধি সার্ভিসে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে ইঞ্জিন নিয়ে। জাগুয়ারে ইঞ্জিন রিপ্লেসমেন্টের জন‍্য আকাশছোয়া দাম চাইছে আমেরিকান সংস্থা হানিওয়েল। হানিওয়েল জাগুয়ারের ইঞ্জিনের জন্য দাম চাইছে ৯৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ দুই ইঞ্জিন পরিচালিত এয়ারক্রাফ্টের ইঞ্জিন পিছু খরচ ১৯০কোটি। হ্যাল এই ইঞ্জিন গুলিকে রিপ্লেস করবে। সেজন্য হ্যালকে ইঞ্জিন পিছু দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একটি জাগুয়ার জেটের সম্পুর্ন ইঞ্জিন রিপ্লেসমেন্টের জন‍্য বায়ুসেনাকে ২১০ কোটি টাকা করচ করতে হবে।

অপর দিকে হ্যালের তৈরি “ফাইনাল অপারেশন ক্লিয়ারেন্স” (FOC) পাওয়া তেজাস জেটের দাম পড়ছে ২০০ কোটি টাকা। যদি হ্যাল কর্তারা ইতিমধ্যে হানিওয়েলের সাথে এই প্রোগ্রাম নিয়ে কথা বলা শুরু করেছে। যাতে ইঞ্জিনের মোট মূল্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারের ওপরে না যায়। যদি হানিওয়েল তাদের নতুন সিদ্ধান্তে অনড় থাকে,তাহলে জাগুয়ার জেটের ইঞ্জিন আপগ্রেডেশন প্রোগ্রাম হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − ten =