বাস-ট্রেনের ব্যবস্থা হলেও বাড়ি ফিরতে নারাজ DU, BHU, AMU ও JNU-র পড়ুয়ারা

বাস-ট্রেনের ব্যবস্থা হলেও বাড়ি ফিরতে নারাজ DU, BHU, AMU ও JNU-র পড়ুয়ারা

নয়াদিল্লি: ঘরে ফেরার ঝক্কি এড়াতে হোস্টেল ছাড়তে নারাজ একাধিক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশ্ববিদালয়ের হোস্টেলে আটকা পড়া ছাত্রছাত্রীরা ঘরে ফিরতে চাইছেন না৷ ভিন রাজ্যে আটকে পড়া মানুষের পাশাপাশি পড়ুয়াদের জন্য ট্রেন-বাসের বন্দোবস্ত করা হলেও, হোস্টেলে থাকারই পক্ষপাতি তাঁরা৷

গণপরিবহন ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্বের অভাব, আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এবং কোয়ারেন্টিনের ঝক্কি এড়াতেই হোস্টেলে থেকে যেতে চাইছেন তাঁরা৷  বেশ কিছু পড়ুয়াকে হোস্টেল ফাঁকা করতে বলা হলেও, করোনা পরিস্থিতিতে সফর করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা৷ বাড়ি ফেরার বদলে বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকা অধিকাংশ পড়ুয়া৷ 

লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই হোস্টেল খালি করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়৷ অন্যদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ভিন রাজ্যে আটকে থাকা মানুষদের ঘরে ফেরাতে বিশেষ ট্রেন চালু করার পরই চলতি মাসে পড়ুয়াদের হোস্টেল খালি করার জন্য নোটিশ ধরায় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া৷ অন্যদিকে, এপ্রিল মাস থেকেই বিভিন্ন রাজ্য সরকার আলাদাভাবে পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে৷ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাসে করে ছাত্রছাত্রীদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷  

চলতি মাসের শুরুতেই আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি (এএমইউ) কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের বাড়ি ফেরাতে বাসের বন্দোবস্ত করেছিল৷ ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের এক হাজার ছাত্রকে বাড়ি ফেরানো হয়েছে৷ যদিও হোস্টেলেই থাকতে চেয়েছিলেন তাঁরা৷ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে পৌঁছনো এক ছাত্র বলেন, রাজ্যে ফেরার পরই ‘অসাধারণ’ এক কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয় তাঁদের৷ তিনি বলেন, ‘‘টিনের ছাউনি দেওয়া চালা ঘরে আমাদের কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়৷ বারবার অভিযোগ করার পর অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয় এবং  কোয়াকেন্টিন সেন্টার থেকে আমাদের নিয়ে যেতে বলা হয়৷’’

গত সপ্তাহে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ‘‘গন্তব্যে পৌঁছোর পর প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখবেন স্থানীয় চিকিৎসকরা এবং বাইরে থেকে আসার পর প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে৷ প্রয়োজনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে৷’’ গোটা বিষয়টির উপর কেন্দ্র নজর রাখবে বলেও জানানো হয়৷ 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + sixteen =