নয়াদিল্লি: ভারতের মতো দেশে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বা মহিলার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি নথি। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে গুনতে হয় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার অঙ্ক। কিন্তু বর্তমান জনজীবনে দেশে মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। তাই এই ড্রাইভিং লাইসেন্স করানোটা সাধারণ মানুষের কাছে কঠিন হয়েছে৷ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম তুলে জমা দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে, ৪ থেকে ৫ মাস অব্দি সময় লেগে যায় লাইসেন্স হাতে পেতে৷ তবে, এবার আর সেই সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না৷
সম্প্রতি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যম অনলাইন হওয়ায় সাধারণ মানুষের এই হয়রানি কিছুটা হলেও কমেছে। আর এই হয়রানিকে সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দিতে এবার কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রক ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মের পরিবর্তন করার প্রস্তাব এনেছে৷ কেন্দ্রীয় পরিবহনের এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী দিনে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলিকে স্বীকৃতি দিতে পারে সরকার, যার ফলস্বরূপ ওই সংস্থাগুলিকে প্রশিক্ষণরত ব্যক্তি কোনও পরীক্ষা ছাড়াই হাতে পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্স৷
বর্তমানে লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি আরটিও অফিসে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হত আবেদনকারীকে, যে পরীক্ষায় পাশ না করলে তার আবেদন ফর্মটিই বাতিল হয়ে যেত পুরোপুরিভাবে৷ কেন্দ্রীয় পরিবহনের মন্ত্রকের এই প্রস্তাবে আপনিও আপনার মতামত দিতে পারেন পরিবহন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গিয়ে। তবে এই নিয়ম কার্যকরী হওয়ার পর কেন্দ্র সরকার এই সংস্থাগুলির উপর কিছু বিধি আরোপ করে দেবে, যেগুলি মেনে চলা হলে তবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স অনুমোদন করবে কেন্দ্র৷