বালেশ্বর: প্রতিরক্ষা খাতে বড়সড় সাফল্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও-র৷ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লা বিশিষ্ট ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপন করা হল ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে৷ এই মিশনে সঙ্গে ছিলেন নৌবাহিনীর গবেষকরাও। মঙ্গলবার চাঁদিপুরের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র (ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ বা আইটিআর) থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি বঙ্গোপসাগরের উপর আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- জমির বিনিময়ে চাকরি! লালুর ‘দুর্নীতির’ খোঁজে বিহারজুড়ে CBI হানা, তল্লাশি RJD নেতাদের বাড়িতে
সফল ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর ডিআরডিও এবং নৌসেনাকে অভিনন্দন জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করবে।’’ এই সাফল্যের পর সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে৷ এর আগে গত জুন মাসেও এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ডিআরডও৷
এদিন নৌসেনার জাহাজ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত নিশানা করে। উৎক্ষেপণের আগে ক্ষেপণাস্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ‘ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করতেও সক্ষম হয়েছে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর৷ উল্লেখ্য, ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম স্বল্পপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সামরিক পরিভাষায় বলা হয় ‘ভার্টিকাল লঞ্চ শর্ট রেঞ্জ সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল’ (ভিএল-এসআরএসএএম)৷ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নকশা তৈরি থেকে নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে ডিআরডিওর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। যার মাধ্যমে এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন ল্যাবরেটরি (ডিআরডিএল), হায়দরাবাদের রিসার্চ সেন্টার ইমারত (আরসিআই) এবং পুণের আর অ্যান্ড ডি ইঞ্জিনিয়ার্সের মতো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>