‘দয়া করে কিছু একটা করুন’, বেহাল পরিষেবা নিয়ে চোখে জল চিকিৎসকের!

‘দয়া করে কিছু একটা করুন’, বেহাল পরিষেবা নিয়ে চোখে জল চিকিৎসকের!

মুম্বই: মানুষকে পরিষেবা দেওয়া এবং তাঁদের প্রাণ বাঁচানোই যেখানে চিকিৎসকদের কাজ, এবার সেই তাঁরাই পরিষেবা দিতে না পেরে অসহায় বোধ করছেন৷ একে একে করোনা রোগীরা তাঁদের চোখের সামনেই অক্সিজেন এবং ওষুধের অভাবে ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছেন৷ আর চিকিৎসকদের হাত পা বাঁধা৷ তাঁদের হাতেও রোগীদের বাঁচানোর মতো কোনও বিকল্প নেই৷ এর মধ্যে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইয়ের চিকিৎসা পরিষেবার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়৷ এই পরিস্থিতি চিকিৎসকদের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠেছে৷ সেখানকার এক চিকিৎসক ইনফিশিয়স ডিজিস ফিজিশিয়ান তৃপ্তি গিলাডা হাউ হাউ করে কাঁদছেন৷ সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসক তৃপ্তি গিলা়ডা কাঁদছেন এবং বলছেন ‘আরও অনেক চিকিৎসকদের মতো তিনিও অসহায়, মুম্বইয়ের পরিস্থিতি খুব খারাপ৷ সেখানের হাসপাতালে কোনও বেড নেই৷ আইসিইউতে কোনও জায়গা নেই৷ এই ধরনের পরিস্থিতি এর আগে এখনও আমরা দেখিনি৷’ তাঁর কাতর আর্তি এই অবস্থায় নিজেরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন৷ ভিডিওয় চিকিৎসা পরিষেবার অবস্থা এবং চিকিৎসকদের অসহায়তার কথা তুলে ধরতে গিয়ে ডক্টর গিলাডা বলেছেন, ‘গত এক বছরে যদি আপনি করোনায় আক্রান্ত না হয়ে থাকেন, তাহলে নিজেকে সুপার হিরো ভাবার কিছু নেই, ভাববেন না আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ ভালো৷ এটা একেবারে ভুল ধারণা৷ আমি ৩৫ বছরের যুবককে ভেন্টিলেটরে দেখছি৷ যাঁর অবস্থা খুবই খারাপ৷’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এর আগে কখনও এরকম হয়নি যে, একসঙ্গে এত রোগীর দেখভাল করতে হচ্ছে৷ প্রচুর মানুষকে বাড়িতেই অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে৷ যাঁরা ভ্যাকসিনের দু‘টি করে ডোজ পেয়েছেন তাঁদের সংক্রমণের মাত্রা খানিকটা কম৷ তাঁদের হাসপাতালে প্রায় পাঠাতেই হচ্ছে না৷ এটা স্পষ্ট যে করোনা সংক্রমণ রুখতে ভ্যাকসিনের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷’ সমস্ত চিকিৎসকদের হয়ে তাঁর বার্তা, ‘এখন চিকিৎসকরা সকলেই মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত এবং অস্বস্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন৷ তবুও তাঁরা কখনও কাউকে না বলছেন না৷ তাঁর অনুরোধ নিজেদের সুরক্ষিত রাখুন৷ প্যানিক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই৷ কিছু লোক অন্যায্য ভাবে বেড দখল করে রাখায় যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন তাঁরাও বেড পাচ্ছেন না৷’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *