আলাদা করা যাচ্ছে না কোভিড ও ডেঙ্গুকে! বর্ষার আগমনে চাপে জনস্বাস্থ্য

আলাদা করা যাচ্ছে না কোভিড ও ডেঙ্গুকে! বর্ষার আগমনে চাপে জনস্বাস্থ্য

কলকাতা: লকডাউন ধীরে ধীরে উঠতে থাকলেও, দেশে করোনা পরিস্থিতি আদৌ ভাল চিত্র দেখাচ্ছে না। উলটে সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এদিকে সময়মতো হাজির হয়েছে বর্ষা। আর এই বর্ষাকালেই আরও নানাবিধ সংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব হয়। এর মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ নিঃসন্দেহে ডেঙ্গু। কলকাতা এবং দেশের আরও অন্যান্য শহরে বর্ষার ঋতুতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের কিছু কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কথা শোনা গেছে। অতএব, করোনা এবং ডেঙ্গুর জোড়া ধাক্কায় আসতে পারে এ শহরেও। চিন্তা আরও বাড়িয়েছে মার্চে প্রকাশিত এক চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, কোভিড এবং ডেঙ্গুর মধ্যে পার্থক্য করার কঠিন হওয়ার কারণ দুটো রোগের চিকিৎসাজনিত এবং পরীক্ষাগারজনিত লক্ষণগুলো প্রায় এক।

উপরোক্ত রিপোর্টটিতে সিঙ্গাপুরের দুই রোগীর উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর ফলাফল নেগেটিভ হলেও ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২’ (সার্স-কোভ-২) চিহ্নিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গু চিহ্নিত হওয়ায় কোভিড পজিটিভ কিনা তা বুঝতে না পারায় সঙ্কটজনক অবস্থা হওয়ার কথাও রিপোর্টে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু-নেগেটিভ কোভিড আক্রান্তদের লক্ষণ দেখে চিকিৎসা করা হোক। এই পরীক্ষা একদম যথাযথ হতে না হলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

পৃথিবীজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না। আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লক্ষ এবং ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে চার লক্ষ মানুষের। শনিবারে প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩৬,৬৫৭। ১,১৪,০৭২ জন সুস্থ হলেও মৃত্যু হয়েছে ৬,৬৪২ জনের। ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে মৃত্যুর হার কম মনে হলেও আশঙ্কা এটাই যে সংক্রমণ দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে হাজির হল ডেঙ্গুর খাঁড়া। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলো কীভাবে এই জোড়া ধাক্কা সামাল দেয় এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 10 =