করোনা চিকিৎসায় নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের, ওষুধ প্রয়োগে বিধি বদল

করোনা চিকিৎসায় নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের, ওষুধ প্রয়োগে বিধি বদল

নয়াদিল্লি: করোনার অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ রেমডিসিভিরের ডোজে পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মাঝারি পর্যায়ে সংক্রামিত করোনা রোগীদের জন্য এর ডোজ ৬দিন থেকে কমিয়ে ৫ দিন করা হয়েছে। ক্লিনিকাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকলস ফর কোভিড ১৯ এর তরফে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী ওষুধটি ইঞ্জেকশনের আকারে রোগীকে দিতে হবে। প্রথম দিন ২০০ মিলিগ্রামের একটি ডোজ এবং পর্বর্তী চারদিন ১০০ মিলিগ্রামের ডোজে ওষুধ দিতে হবে। ১৩ জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রক রেমডিসিভরের ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয়। তদন্তসাপেক্ষ চিকিৎসায় মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে জরুরি পর্যায়ের এর ব্যহার বেঁধে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জরুরি পর্যায়ের ব্যাবহারের ছাড়পত্রের ক্ষেত্রে মাঝারি সংক্রমণের রোগী যাদের অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন, তাদের ওপর রেমডিসিভর ব্যবহার করা যেতে পারে। কিডনির সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী, উচ্চ লিভার এনজাইম ক্ষরণে আক্রান্ত, অন্তঃসত্ত্বা কিংবা স্তন্ পান করানো মহিলাদের এবং ১২ বছরের কমবয়সীদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করা যাবে না বলেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে ইমিউনিটি বর্ধক ওষুধ টিসিলিজুমাবের ব্যবহারেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তদন্তসাপেক্ষ চিকিৎসা হিসেবে মাঝারি সংক্রামিত করোনা রোগীদের প্লাজমা প্রদান করা যাবে বলেও জামনিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। নির্দেশিকায় গুরুতর অসুস্থতার ক্রষেত্রে নয় কেবলমাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার ,করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। ২৭ জুন মন্ত্রক একটি কমদামী অথচ বহু ব্যবহৃত স্টেরয়েজ ডেক্সামেথাসনের ব্যবহারও করোনা চিকিৎসায় সংযোজিত করে। বলা হয় মাঝারি থেকে গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই ওষুধ তদন্ত্সাপেক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। মাঝারি থেকে গুরুতর করোনা সংক্রমণের জন্য মিথাইলপ্রেডনিসোলোনের বিকল্প হিসেবে ডেক্সামেথাসনের ব্যবহারের কথা বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই ওষুধ তার প্রদাহরোধী এবং ইমিউনোসাপ্রেসন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য বিস্তৃতভাবে ব্যবহার করা হয়। ভারতের প্রতিদিনের করোনা সংেক্রমণ গড়ে ২০ হাজারের ওপর এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের সর্বমোট সংক্রমণ ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৪৪। নতুন করে ৩৭৯জনের মৃত্যুর জেরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২১৩।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *