নয়াদিল্লি: আরও বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ৷ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে করোনার প্রভাবমুক্ত এলাকায় কিছুটা ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন নমো। তবে করোনার হটস্পটগুলিতে আরও কঠোর ভাবেই কার্যকরী থাকবে লকডাউন৷ এই অবস্থায় কাজ হারানো মানুষগুলিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী৷
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, যাঁরা দিন আনে দিন খায়, তাঁরাই আমার সবচেয়ে বড় পরিবার৷ তাঁদের নিয়েই সবচেয়ে বেশি চিন্তিত৷ গত ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণার পর রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েন অসংখ্য দিনমজুর, শ্রমিক। এমনকী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের প্রতিদিনের রোজগারের টাকায় সংসার চলে, তাঁদের জন্যই সবচেয়ে বেশি চিন্তা। তাঁদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই নতুন গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।’’
এই পরিস্থিতিতে ছোট উদ্যোক্তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আর্জি, ‘‘দয়া করে কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করবেন না৷ এই কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাদের ব্যবসা ও উদ্যোগে আপনাদের সঙ্গে কাজ করার মানুষগুলোর প্রতি সংবেদনা বজায় রাখুন৷’’ নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, করোনার বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, আমরা কী ভাবে জয়ী হব, কী ভাবে ক্ষতির পরিমাণ কম করা যায়, লোকজনের সমস্যা কী ভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে নিরন্তর আলোচনা করা হচ্ছে৷ আমার প্রধান লক্ষ্যগুলির অন্যতম হল, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জীবন থেকে সমস্যা দূর করা৷ প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে এই সকল মানুষদের সাহায্য করার সব রকম চেষ্টা করছে সরকার৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা রবিশস্যের মরশুম৷ সারা দেশেই ফসল কাটার কাজ চলছে৷ কৃষকদের যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলিতভাবে সেই চেষ্টা চালাচ্ছে৷ কৃষকদের যতটা সম্ভব ছাড় দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ আপনারাও যতটা সম্ভব গরীব মানুষদের পাশে থাকুন৷ তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিন৷ ওষুধ থেকে খাদ্যশষ্য, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে৷ যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই করছেন৷ মানুষের সেবার কাজে নিয়োজিত সেই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সবার সম্মান করুন, ওঁদের জন্য গর্ব করুন৷ মানবকল্যাণে ভারতের যুব বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি৷