নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার গোটা দেশ৷ চলছে মৃত্যু মিছিল৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকাকরণের উপর দেওয়া হয়েছে গুরুত্ব৷ দেশজুড়ে চরমে উঠছে টিকার আকাল৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না টিকা৷ করোনা রুখতে যখন আমজনতা চাতক পাখির মতো টিকার আশায় বুক বাঁধছে, ঠিক তখনই এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ বৃহস্পতিবার নীতি আয়োগের স্বাস্থ্যের সদস্য ডক্টর ভিকে পাল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে কোনও টিকাই ১০০ শতাংশ কার্যকরী নয়৷ ফলে পরবর্তীতে বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট আতঙ্কিত গোটা দেশ। একদিকে যেমন রোগীর চাপে হাসপাতালে বেডের অভাব, অন্যদিকে অক্সিজেনের আকাল৷ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও মিলছে না হাসপাতালে ঠাঁই৷ সেক্ষেত্রে তাঁদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে৷ ফলে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা৷ পরিস্থিতি সামল দিতে টিকাকরণের উপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও, টিকার কার্যকরিতা এখন প্রশ্নের মুখে৷ নীতি আয়োগের স্বাস্থ্যের সদস্য ডক্টর ভিকে পাল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, “যদি বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হয় তবে তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হবে৷ করোনার গাইডলাইন মেনে চলতে হবে৷ এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালানো হচ্ছে৷ টিকার দুটি ডোজ নিন, তারপর করোনাবিধি ঠিক ভাবে মেনে চলুন৷ কোভ্যাক্সিন দিয়ে ট্রায়াল চালানো হচ্ছে যে, ছয় মাস পর এতে ফের বুস্টার ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হবে কি না৷ আপনি কঠিন এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন, তবু আপনাকে নিয়ম পালন করতে হবে৷ এই সুরক্ষা ১০০ শতাংশ নয়৷ এর পরেও যদি কোনও বুস্টার ডোজ প্রয়োজন পড়ে তবে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হবে৷’’
এদিন তিনি আরও জানান, সরকার দেশের প্রত্যেক মানুষকে করোনার বিরুদ্ধে টিকাকরণে উৎসাহিত করছে৷ তবে এপ্রিল মাসের মাঝে যেভাবে করোনার হার বেড়েছিল সেই তুলনায় এখন সুস্থতার হার অনেকটাই বেড়েছে৷ গত ৪৪ দিন পর দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা সবচেয়ে কম৷ তবে গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৩৬৪ জন। তবে যেভাবে লকডাউন চলছে এবং করোনা বিধি মানার কথা বলা হচ্ছে সেইসব নিয়ম মেনে চললে করোনা আরও কমবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু, নীতি আয়োগের স্বাস্থ্যের সদস্য ডক্টর ভিকে পালের দেওয়া তথ্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আমজনতার মধ্যে৷ টিকা যদি ১০০ শতাংশ কার্যকর না হয়ে থাকে, তাহলে এত কেন আয়োজন? প্রশ্ন জনতার৷