নয়াদিল্লি: কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তা তাঁর মর্যাদা ও আত্মসম্মানকে ক্ষুন্ন করে৷ তাই গ্রেফতারের ক্ষমতা রয়েছে বলেই কারও হাতে হাতকড়া পরাবেন না৷ এমনকী চার্জশিট বানানোর জন্যেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না৷ এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলকে ‘বেগুন গাছে’র সঙ্গে তুলনা কংগ্রেস নেতার! চাঞ্চল্য ত্রিপুরায়
এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানায়, ক্ষমতা থাকলেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যাবে না৷ গ্রেফতারি একজন ব্যক্তির সুনাম ও আত্মসম্মানের অকল্পনীয় ক্ষতি করে৷ ক্ষমতা আছে বলেই পুলিশ যেন গ্রেফতারিকে রুটিন বিষয় করে না তোলে৷ পাশাপাশি আদালত আরও জানায়, চার্জশিট তৈরি করার সময় কর্তব্যরত অফিসারের ওপর ১৭০ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ধরার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সাধারণত চার্জশিট তৈরি করার জন্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার উপর জোর দেওয়া হয়। এই বিষয়টি নেহাতই ট্রায়াল কোর্টের অভ্যাস এবং ভুল।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ জানায়, “ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমাদের সাংবিধানিক আদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক’’৷ জেলে না পাঠিয়েও যখন তদন্ত সম্পন্ন করা যায়, তখন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারের অভ্যেস ত্যাগ করা উচিত৷ অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অকারণে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হলে অভিযুক্তের সামাজিক সম্মান হানি হতে পারে। বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, একান্তই যদি মনে হয় অভিযুক্ত পালাতে পারে অথবা সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে, সেক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা উচিত। তবে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তদন্তে সব রকম ভাবে সহায়তা করতে সম্মত থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন- তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে ভারত? যা বললেন বিদেশমন্ত্রী
অনেক সময় দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি তদন্তে সহযোগিতা করা সত্বেও তাঁকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। চার্জশিট তৈরির পরেও মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাঁকে হেফাজতে রাখা হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দেওয়া হয়েছে৷ দিল্লি হাইকোর্ট ছাড়া অন্যান্য হাইকোর্টও এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে৷