নয়াদিল্লি: নিজেদের বেঁচে থাকাকে আরও স্বাচ্ছন্দে ভরিয়ে তুলতে রাস্তার কুকুরের প্রাণহানি ঘটানো যাবে না। কেরালার এক বাসিন্দার দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতেই এই রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট। খাস কলকাতাতেই সরকারি হাসপাতালের মধ্যে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল ১৬টি কুকুরছানাকে। মাসখানেক আগের এই নৃশংস ঘটনা তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। পথে নেমে প্রতিবাদ করেছিল বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। সার্বিক বিরোধিতার মুখে পড়ে দুই অভিযুক্ত মহিলাকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুজনের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় আন্দোলনও হয়। এমতাবস্থায় দেশের শীর্ষ আদালতের রায় বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের বুকে আসার সঞ্চার করেছে।
সব রাস্তার কুকুরকে মেরে ফেলার অনুমতি দেওয়া হোক,এর ভিত্তিতেই আদালতে যান ওই ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, রাস্তার কুকুরকে কোনওভাবেই মেরে ফেলা যাবে না। মানুষের মতো তাদেরও বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।তবে খেয়াল রাখতে হবে রাস্তার কুকুরগুলিও যেন সময়মতো ডাক্তারি পরিষেবা পায়। নাহলে অসুস্থ পাগলা কুকুরের আক্রমণে জনসাধারণ ক্ষতিগর্স্ত হতে পারে। তাই পাগলা কুকুরকে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।কিন্তু কোনওভাবেই কুকুরের উৎপাত থেকে মুক্তি পেতে তাদের সম্পূর্ণভাবে শেষ করে ফেলা যাবে না।
জানা গিয়েছে, কেরালাতে রাস্তার কুকুর এখন বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোলেই তাঁকে কুকুরে কামড়ে দিচ্ছে। এই আক্রমণ থেকে বাঁচতেই কুকুর নিধনের আরজি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বেশকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, পাগলা কুকুরকে মেরে ফেলা হলেও সুস্থ রাস্তার কুকুরকে কোনওভাবেই আক্রমণ করা যাবে না।এদিকে রাস্তার কুকুর বাঁচাতে পালটা আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি।তিনি রাস্তার কুকুরদের সুরক্ষিত রাখতে নিজের বাড়িতেই আলাদা বাসস্থান তৈরি করেছেন। আদালত অনুমতি দিলে তাঁর এলাকার রাস্তার কুকুরদের ঠাঁই হতে চলেছে ওই বাসস্থানে।