দিল্লিতে থাকা তাঁর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর! সোনিয়াকে রাজধানী ছাড়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

ফুসফুসে ক্রনিক সংক্রমণ রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর।

নয়াদিল্লি: ফুসফুসে ক্রনিক সংক্রমণ রয়েছে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। এই কারণে তাঁকে দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রাজধানীতে যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে তাঁর পক্ষে রাজধানীতে থাকা ঝুঁকি হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই সোনিয়া গান্ধীকে এমন পরামর্শ চিকিৎসকদের। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে কিছুদিন দিল্লির বাইরেই থাকবেন সোনিয়া গান্ধী।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী কিছুদিন গোয়া কিংবা চেন্নাইয়ে থাকতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে এখনো কিছুই জানা যায়নি। তবে অন্য জায়গায় গেলেও তিনি একা থাকবেন না, সোনিয়ার সঙ্গে থাকতে পারেন রাহুল অথবা প্রিয়াঙ্কা। কয়েক মাস আগেই চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। পরবর্তী সময়ে দিল্লিতেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিকে, একাধিক রিপোর্ট বলছে, বর্তমান রাজধানীর পরিবেশ একেবারেই সুখকর নয় সাধারণ মানুষের জন্য। সেই ক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধীর ক্ষেত্রে রাজধানীতে এখন থাকা বড় রকমের সমস্যা। একদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, অন্যদিকে প্রবল বায়ু দূষণ, আর নিজের ফুসফুসের সংক্রমণ, সব মিলিয়ে রাজধানী দিল্লি এখন সোনিয়া গান্ধীর জন্য বিপজ্জনক। তাই যত দ্রুত সম্ভব তাকে রাজধানীর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল চিকিৎসকদের তরফে। 

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বায়ুদূষণ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের আরও বড় ক্ষতি করতে পারে বলে একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। সেই কারণে উৎসব মরসুমে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল দেশের একাধিক রাজ্যে। চিকিৎসকদের বক্তব্য ছিল, করোনাভাইরাস শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি করে, বায়ু দূষণের ফলে সেই সমস্যা আরো বিরাট আকার ধারণ করতে পারে। ফলে ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে তা আরও চিন্তার কারণ। এই কারণেই বাজি নিষিদ্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন রাজ্যে। এখন সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর দিয়েই তাকে রাজধানী দিল্লি ছেড়ে কিছুদিন বাইরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। ফ্রি পরামর্শ মেনেই দিল্লি থেকে কিছুদিন দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *