নয়াদিল্লি: ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তর জানিয়েছে, ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী ভারতে মোট ভিক্ষুক ও ভবঘুরের সংখ্যা ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬৭০৷ এ দেশে ১৫ বছরের নীচে থাকা শিশু-ভিক্ষুক বা ভবঘুরের সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৯৬।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন মানুষের ত্রাণের ব্যবস্থা করা রাজ্য সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। রাজ্য সরকারই প্রয়োজনীয় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়। তবে, ভিক্ষুকদের দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচির জন্য ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯-এ যথাক্রমে ১০০ লক্ষ টাকা এবং ৫০ লক্ষ টাকা ন্যাশনাল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে বরাদ্দ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৫ সালের কিশোর-কিশোরীদের অপরাধমূলক কাজকর্মের বিচার করার বিশেষ আইন – জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন) আইন অনুযায়ী, ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কোন শিশুকে ব্যবহার করা দণ্ডণীয় অপরাধ। এর জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে বা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে অবশ্য এই মন্ত্রক একটি কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায়পুষ্ট শিশু সুরক্ষা পরিষেবা প্রকল্প রূপায়ণ করছে যাতে বিপন্ন শিশুদের সহায়তা দেওয়া যায়। এই বিশেষ আইনটি রূপায়ণের প্রাথমিক দায়িত্ব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির। ২০১৫-র শিশু অধিকার রক্ষার আইন অনুসারে বিপন্ন শিশুদের জন্য রাজ্য সরকার বা কোন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেকটি জেলায় শিশু সুরক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। প্রতিষ্ঠান-বহির্ভূত ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে শিশু দত্তক নেওয়া বা শিশুদের লালন-পালনের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শহরের দরিদ্র মানুষদের স্বনিযুক্তির প্রয়োজনে দীনদয়াল উপাধ্যায় যোজনা – জাতীয় নগরকেন্দ্রিক জীবনজীবিকা মিশন কার্যকর করা হচ্ছে। এই মিশন শহরের দরিদ্র মানুষদের জন্য তৃণমূলস্তরের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। পাশাপাশি, এই মিশন শহরের গৃহহীনদেরও প্রয়োজনীয় পরিষেবাযুক্ত আশ্রয়স্থল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। একইসঙ্গে, শহরের রাস্তায় পণ্য বিক্রেতাদের জন্যও প্রয়োজনীয় স্থান, প্রাতিষ্ঠানিক ঋণদান ইত্যাদির ব্যবস্থাও রয়েছে এই মিশনের আওতায়। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানান কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী রতনলাল কাটারিয়া।