উত্তরপ্রদেশ: জঙ্গিহানা ও তারপর ভারতীয় বায়ু সেনা বাহিনীর পাল্টা প্রত্যাঘাত প্রসঙ্গে মন্তব্য করে এর আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আরও একবার নির্বাচনী ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের খতম করতে কমিশন কবে অনুমতি দেবে তার জন্য অপেক্ষা করা সেনাবাহিনীর কাজ নয়।
মোদির কথায়, ‘‘জঙ্গিরা সেনা জওয়ানদের সামনে বন্দুক ও বোমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় আমার জওয়ানরা গুলি চালাবে কিনা সেটা ইলেকশন কমিশনকে জিজ্ঞেস করবে? আমি আসার পর থেকেই প্রতি দু-তিন দিন অন্তর অন্তর কাশ্মীরে জঙ্গিদের সাফাই অভিযান শুরু হয়। এই ব্যাপারটাকে আমি সাফাই অভিযান বলেই মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সেনাকে নিয়ে মন্তব্য করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একটি জনসভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, মোদীজির সেনা জঙ্গিদের বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে মেরে এসেছে। আর কংগ্রেসের সময় এসব কিছুই হত। এমন কথা বলায় সমালোচিত হন তিনি। নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। এবারে ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক কোনও বিষয়কে প্রচারের অঙ্গ করা যাবে না। কিন্তু অভিযোগ বারবার তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছিল। তবে তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে কমিশন।