হায়দরাবাদ: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এই আশঙ্কার বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি দিন কাটাচ্ছিলেন। তিনি ধরেই নিয়েছিলেন, এই করোনাভাইরাসের জেরে তাঁর মৃত্যু হবে। তবে তিনি কখনই চাননি, তাঁর থেকে করোনাভাইরাস গ্রামের কারও শরীরে ছড়িয়ে পড়ুক। এই আতঙ্কেই আত্মঘাতী হলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের এক বাসিন্দা। মঙ্গলবার বাড়ির কাছে একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। তিনি মোবাইলে ক্রমাগত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত ভিডিও দেখতে শুরু করেছিলেন। মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, দুদিন আগে তাঁর বাবা হাসপাতাল থেকে ফিরেছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকেই তিনি অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেছিলেন। মূত্রনালীতে সংক্রমণ ও ঠান্ডায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সেই কারণেই গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকেই তাঁর মনে হতে থাকে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ির কেউ যাতে তাঁর কাছে না আসে, তার জন্য তিনি পাথর ছুড়তেন।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তিনি বাড়ির সমস্ত সদস্যকে বাড়িতে আটকে বাইরে থেকে তালাবন্দি করে দেন। এরপরে নিজের মায়ের সমাধির কাছে একটি গাছে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবার ও গ্রামবাসীরা বলেন, মূত্রনাসির সংক্রমণের জেরে ও ঠান্ডা লেগে তাঁর এক তারিখ থেকে জ্বর আসে। হাসপাতাল থেকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু জ্বর কিছুতে না কমায়, তাঁর মনে হতে থাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। গ্রামবাসী থেকে পরিবারের সবাই জানান, করোনাভাইরাস চিনে হয়েছে। চিন থেকে যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থাকতে পারে। কিন্তু তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস দানা বাধার কোনও কারণ নেই। এছাড়া যদি কোনওভাবে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস ঢুকেও থাকে, সেক্ষেত্রে হাসপাতাল থেকেই তাঁকে আলাদা পর্যবেক্ষণে রাখত। তাঁকে ঘরে আনত না। কিন্তু ওই ব্যক্তি কোনও কথায় কর্ণপাত করেননি।