কলকাতা: ফের বেফাঁস মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি উত্তরপ্রদেশ সরকারের নিন্দা করে বসলেন। টিটাগড়ে সম্প্রতি খুন হয়েছেন অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ নেতা মণীশ শুক্ল। এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপি ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়েই গন্ডগোল করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বললেন, “উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো বাংলাতেও মাফিয়ারাজ শুরু হয়েছে।” গোটা ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
হাথরস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশে জ্বলছে প্রতিবাদের মশাল। চলছে যোগী সরকারকে নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এনিয়ে যোগী আদিত্যনাথকে সমালোচনায় জর্জরিত করেছেন। পথে নেমে প্রতিবাদও করেন তিনি। কিন্তু তার জন্য তাঁকেও সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়। বিজেপির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, হাসরথের ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। কিন্তু এমন ঘটনা বাংলাতেও ঘটছে। তৃণমূলের কর্মীরাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ওঠে অভিযোগ। এও অভিযোগ, সেই সবকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধামা চাপা দিতে চেষ্টা করছেন। দিলীপ ঘোষ এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেন। মনীশ শুক্ল হত্যার কথা বলতে গিয়ে তিনি নিজেদের দলের জন্য অস্বস্তি ডেকে আনেন। তিনি এদিন বলেন, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতোই বাংলাতেও মাফিয়ারাজ চলছে। তিনি আসলে নীতিশ কুমারের বিহারের পরিস্থিতি ও বাংলার পরিস্থিতিকে তুলোধনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে নিজেই দলকেই সমালোচনার মধ্যে ফেললেন।
রবিবার ভরসন্ধ্যায় দু’টি বাইকে মণীশ শুক্লর উপর হামলা চালায় ৪ দুষ্কৃতী৷ বিজেপি নেতাকে গুলি করে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা৷ গুলিতে গুরুতর জখম হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই বিজেপি নেতা৷ পরে হাতপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়৷ ঘটনার অদূরে থাকা ওষুধের দোকানে থাকা ৪টি সিসিটির মধ্যে এক সিসিটিভি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন তুলছে বিজেপি৷ ঘটনার নয় মণীশ শুক্লর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটি থাকার খবর দুষ্কৃতীদের কাছে ছিল বলে আশঙ্কা স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের৷ কীভাবে খুন, পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও শাসকদল ও পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন অর্জুন সিং৷ টিটাগড়ে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মন্তব্য, ‘‘গোটা ঘটনায় পুলিশ ও তৃণমূলে যৌথ অপারেশন চালিয়েছে৷ আমার কাছে খবর আছে, দুই চেয়ারম্যান উত্তম দাস ও প্রশান্ত চৌধুরী এবং রাজেন্দ্র চৌধুরী ও রাজেন্দ্র যাদব পুলিশের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন৷ কারণ, যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তা পুলিশই ব্যবহার করে৷ খুব সম্ভাবনা রয়েছে, লাটবাগান থেকে অস্ত্র বেরিয়ে পরে সেই অস্ত্র ফিরে গিয়েছে লাটবাগানে৷’’