নয়াদিল্লি: সারা দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে৷ ধর্মীয় স্থানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে৷ যার জেরে ফাঁকা থাকছে প্রণামী বাক্স৷ এবার প্রণামী বাক্স ভরতে বিজ্ঞানের সাহায্য নিল মন্দির কর্তৃপক্ষ৷ শুরু হল ডিজিট্যাল পুজো৷
করোনার থাবায় ভাটা পড়েছে মন্দিরের প্রনামীতে। আর সেইকারণেই এবার ডিজিটাল পুজোর ব্যবস্থা করলো দেশের অন্যতম বিতর্কিত কেরালার শবরীমালা মন্দির। করোনার জন্ন কেরালার সবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ অন্য পথে প্রণামী অর্জনের চেষ্টা চালাবে বলে ঠিক করেছে। কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানায় তাদের প্রচুর ভক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছে শবরীমালা কর্তৃপক্ষ। ১৮ মার্চ শেষবার শবরীমালায় পুজো হয়।
করোনার জেরে সারা দেশে লকডাউন চলছে। আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জল্পনা চলছে। তেমনটা হলে দীর্ঘদিন আয়ের পথ বন্ধ থাকবে বলে আশঙ্কা করছে শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর তাই ডিজিটাল পুজোর ব্যবস্থা করে ভক্তদের থেকে প্রণামী নেওয়ার চেষ্টা শুরু করতে চলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। লকডাউনের সময় কেউ মন্দিরে এসে পুজো দিতে পারবেন না। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অর্চনা, গণপতি হোমাম ও নিরঞ্জনমের মতো পুজোর আচার যে কেউ বাড়িতে বসেও করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে পুজোর জন্য প্রণামী সংগ্রহ করা হবে ভক্তদের থেকে। সেটাও অনলাইনেই হবে।