নয়াদিল্লি: ২০২১ সালে মাঝামাঝি সময় দেশে মিলতে পারে করোনার ভ্যাকসিন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে৷ তবে এই ভ্যাকসিন কারা কারা আগে পাবেন তা রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ এবার তারই কিছুটা সরলীরকরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ জানালেন ডিজিটাল স্বাস্থ্য আইডির মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হবে করোনার ভ্যাকসিন৷ ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগকারী সমাজগুলির দ্বারা ভবিষ্যতের রূপ নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, দেশের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলি দেশের সবথেকে বড় সম্পদ এবং এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় তারা অভূতপূর্ব কাজ করছে৷ মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে এমনটাই বলেন নমো৷
গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জস বার্ষিক সভায় তাঁর ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য বলতে গিয়ে মোদী বলেন, ভারত এখন কোভিড -১৯-এর ভ্যাকসিন বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে এবং যেই স্বেচ্ছাসেবকেরা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিচারের অগ্রগতিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার প্রতিভার সঙ্গে “বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা প্রচেষ্টার কেন্দ্রে”ও রয়েছে ভারত৷ ভারত অন্যান্য দেশগুলিকে সহায়তা করবে৷৷ নমো বলেন, বিশ্ব টিকাদান কর্মসূচির জন্য ব্যবহৃত ৬০ শতাংশেরও বেশি ভ্যাকসিন আমাদের দেশে উত্পাদিত হয়৷ স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতা ভারত আগেই প্রমাণ করেছে৷
কোভিড- ১৯ এর টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশের প্রচেষ্টার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন যে, ভারত ইতিমধ্যে একটি শক্তিশালী ভ্যাকসিন বিতরণ ব্যবস্থা স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে এবং ডিজিটালাইজড নেটওয়ার্ক, নতুন ডিজিটাল স্বাস্থ্য আইডি তার সাফল্য নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হবে। যার জন্য ডিজিটালাইজড নেটওয়ার্কের দ্বারা নতুন ডিজিটাল স্বাস্থ্য আইডি কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে কোভিডের ভ্যাকসিন৷ তিনি বলেন, আজ, আমরা প্রতিদিনের ক্ষেত্রে করোনা আক্রাণের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস হতে দেখতে পাচ্ছি। ভারতে সর্বোচ্চ ৮৮ শতাংশ পুনরুদ্ধারের হার রয়েছে৷