ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি কখনও নেপালে গিয়েছিলেন? উঠে এল অজানা তথ্য

‘ভাগবৎ’ জানায়, মথুরায় জন্ম হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের। তাঁর মামা, অত্যাচারী রাজা কংসের কোপ থেকে বাঁচানোর জন্য জন্মের পরক্ষণেই তাঁকে গোকুলে রেখে আসেন শ্রীকৃষ্ণের বাবা বসুদেব। ‘‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’’— আদ্যাশক্তি মহামায়ার এই দৈববাণীর দৌলতে পরবর্তীকালে কংস জানতে পারেন যে, গোকুলেই তিলে তিলে বড় হচ্ছে তাঁর ধ্বংসে কারণ। শ্রীকৃষ্ণ মিথে উল্লেখযোগ্য দুই স্থান, মথুরা এবং

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি কখনও নেপালে গিয়েছিলেন? উঠে এল অজানা তথ্য

‘ভাগবৎ’ জানায়, মথুরায় জন্ম হয়েছিল শ্রীকৃষ্ণের। তাঁর মামা, অত্যাচারী রাজা কংসের কোপ থেকে বাঁচানোর জন্য জন্মের পরক্ষণেই তাঁকে গোকুলে রেখে আসেন শ্রীকৃষ্ণের বাবা বসুদেব। ‘‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’’— আদ্যাশক্তি মহামায়ার এই দৈববাণীর দৌলতে পরবর্তীকালে কংস জানতে পারেন যে, গোকুলেই তিলে তিলে বড় হচ্ছে তাঁর ধ্বংসে কারণ।

শ্রীকৃষ্ণ মিথে উল্লেখযোগ্য দুই স্থান, মথুরা এবং গোকুলের কথা প্রায় সকলেই জানেন। তবে তাঁর নেপাল যাত্রার কথা অজানা অনেকের কাছেই। নেপালের কাঠমান্ডু শহরের কপূরধারা এলাকায় রয়েছে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের পদচিহ্ন, সম্প্রতি উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য।

প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে, খরায় জর্জরিত হয়ে সভ্যতার বিলুপ্তি ঘটতে চলেছিল কাঠমান্ডুর কপূরধারা এলাকায়। এই প্রবল খরা খেকে জীবকুলকে উদ্ধার করতে সেখানে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। কপূরধারার বাসিন্দাদের বর্ণনা অনুযায়ী, ধরণীকে তীর-বিদ্ধ করে জলের ব্যবস্থা করেন তিনি। মাটি থেকে বেরনো সেই জল ছিল কর্পূরের মতো স্বচ্ছ। সেখানে একটি জলাধারও নির্মাণ করেছিলেন তিনি। সেই থেকেই স্থানের নাম হয় ‘কপূরধারা’। জীবকূলকে এই প্রবল খরার হাত থেকে রক্ষা করার সময় ভৃ-পৃষ্ঠে নিজের পদচিহ্ন রেখে গিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আজও সেই পদচিহ্ন পূজিত হয়ে আসছে এই জনপদে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − three =