বাল্মিকী রামায়ণ অনুসারে রামের জন্ম হয়েছিল প্রায় ৮৮০ হাজার বছর আগে। মহাগ্রন্থের ঘটনাবলি অনুযায়ী, সীতা উদ্ধারের জন্য সাগর পেরতে হয় রামকে। মাত্র পাঁচ দিনের কঠোর পরিশ্রমে, ভারত ও তৎকালীন লঙ্কাকে পাথরের সেতু দিয়ে জুড়েছিল বানরসেনা, এমনটাই জানায় মহাকাব্য রামায়ণ।
তামিলনাড়ুর পাম্বান বা রামেশ্বরম থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত সেই পাথরের সেতুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় এখনও। এই অঞ্চলের সমুদ্র জাহাজ যাওয়ার জন্য বেশ অগভীর। তাই এখানে ড্রেজিং করার প্রস্তাব ওঠে। কিন্তু, হিন্দুত্ববাদের চাপে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে, ‘সেতুসমুদ্রম’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় আনা হয় এই অঞ্চলটি।
২০০৩ সালে, এক দল বৈজ্ঞানিক প্রমাণ করেন যে, রামেশ্বরমের সেতুটি রামায়ণের যুগেরই। ‘কার্বন ডেটিং’-এই তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু, সেতুটি যে রামচন্দ্রই বানিয়েছিলেন তা প্রমাণসাপেক্ষ। এবং, এই মর্মে ভারত সরকারের এফিডেভিট-ও রয়েছে। অর্থাৎ, সেই সেতু হয়তো প্রাকৃতিকই। আইসিএইচআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টোরিক্যাল রিসার্চ) ‘সেতুসমুদ্রম’ প্রকল্পের দ্বারা এখন সেই প্রচেষ্টাই করা হবে।