মুম্বই: মিশন দিল্লিকে সামনে রেখে গোয়া দখলে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ দেশের ক্ষুদ্রতম এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, যে রাজ্যে বিজেপি রয়েছে আমরা সেই রাজ্যেই যাব৷ যে রাজ্যেই যাব সেখানে দুই একটা আসন দখল করতে নয়, জিততে যাব৷ এদিকে আজ গোয়ার ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি৷ দিল্লিতে বিজেপি’র সদর দফতর থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেই তৃণমূলকে একহাত নিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা গোয়ায় বিজেপির পর্যবেক্ষক দেবেন্দ্র ফড়নবীশ৷ তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘ দল বাড়াতে গোয়ায় স্যুটকেস নিয়ে এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷’ সেই সঙ্গে তৃণমূলকে ‘হিন্দু বিরোধী’, ‘গণতন্ত্র বিরোধী’ বলেও তোপ দাগেন ফড়নবিশ৷
আরও পড়ুন- ভারতের মাটিতে ঢুকে যুবককে ‘অপহরণ’ চিনের! অরুণাচলে চাঞ্চল্য
তাঁর কথায়, ‘‘স্যুটকেস নিয়ে গোয়ায় দল বাড়াতে এসেছে তৃণমূল৷ ওদের হাবভাব দখে মনে হচ্ছে গোয়া একটা বাজার, আর এখানকার নেতার হল পণ্য৷ গোয়ার মানুষ এই ধরনের রাজনীতি পছন্দ করে না৷’’ তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ায় চটেছে দলেরই গরিষ্ঠ অংশ। দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল। উল্লেখ্য, এর আগে বিজেপি’র জোটসঙ্গী ছিল গোমন্তক পার্টি৷ কিন্তু এবারের নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সেই জোট ভেঙে গিয়েছে৷ তবে ফড়নবিশের এহেন আক্রমণ থেকে স্পষ্ট গোয়ায় তৃণমূলকে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে দিয়েছে তাঁরা৷ সেই সঙ্গে কংগ্রেসকেও বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা একাই প্রতিপক্ষ নয়৷
এদিকে ফড়নবিশের আক্রমণের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। উল্টে তিনি বিজেপিকে ‘স্যুটকেস পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও সত্তরের ঘরেই আটকে থেকেছে। কারা স্যুটকেস পার্টি সেটা দেশের মানুষ ভালোমতেই জানে।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস যদি এতটাই গুরুত্বহীন, তাহলে তৃণমূলকে নিয়ে এতগুলো বাক্য খরচ করছেন কেন উনি? গোয়ার মানুষ পাঁছ বছর আগেই ওদের পরিচয় জেনে গিয়েছে৷