কলকাতা: ধেয়ে আসছে বিধ্বংসী ফনি৷ এই মুহূর্তে ওড়িশার পুরী থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফনি৷ শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই ওড়িশা উপকূল আছড়ে পড়ার আশঙ্কা৷ ঝড়ের কবলে বাংলা সহ পাঁচ রাজ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রের তরফেও ত্রান বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বাংলা সহ অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারে৷
ফনির জেরে ওইদিন থেকে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ৮ জেলায় সতর্কতা জারি হয়েছে৷ কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ফনি এ রাজ্যে ঢোকার পর ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে প্রায় ১০০ কিলোমিটার৷ এর জেরে বাংলার সমুদ্র রাগোয়া পর্যটন কেন্দ্রে অ্যালাট জারি হয়েছে৷ পুরী থেকে পর্যন্ত ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভার রয়েছে৷ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার জন্য।
অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ, পাঁচটি রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। অন্ধ্রের কাঁকিনাড়া বন্দর ও বিশাখাপত্তনম থেকে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশ পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে। নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। এই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পুরী ও ব্রহ্মপুরের মতো শহরগুলিতে আলাদা করে নজর রাখা হচ্ছে।