খাতায়-কলমে নিষেধাজ্ঞা, বাস্তবে চলছে ‘পাবজি’র খেল

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্তও বহাল তবিয়তে খেলা যাচ্ছে পাবজি। ফলে সংশয় তৈরি হয়েছে খোদ এই গেমের ভক্তদের মধ্যেও। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ঠিক কবে থেকে লাগু হচ্ছে তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমন এক শ্রেণির সংশয়— এখন খেললে কোনও বিপদ হবে না তো।

নিজস্ব প্রতিবেদন: গতকাল, ২ সেপ্টেম্বর পাবজি সহ মোট ১১৮টি চিনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনে ভারত সরকার। নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপের তালিকায় ছিল লকডাউনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা লুডো কিংয়ের মতো মোবাইল গেম। কিন্তু নিঃসন্দেহে পাবজির মতো জনপ্রিয় কোনওটাই নয়। বিকেল বিকেল এই খবর প্রকাশের পর সোশাল সাইট এই নিয়েই মেতে ওঠে। একদিকে যেমন পাবজি-প্রেমীদের হতাশা, অন্যদিকে এই খেলাটি অপছন্দকারীদের উল্লাস ফেটে পড়তে থাকে ফেসবুক-টুইটারে। জানা যায়, বুধবার রাত ১২টার পর থেকেই আর খেলা যাবে না এই গেমটি। 

কিন্তু সত্যিই কি তাই? বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্তও বহাল তবিয়তে খেলা যাচ্ছে পাবজি। ফলে সংশয় তৈরি হয়েছে খোদ এই গেমের ভক্তদের মধ্যেও। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ঠিক কবে থেকে লাগু হচ্ছে তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমন এক শ্রেণির সংশয়— এখন খেললে কোনও বিপদ হবে না তো।  যাই হোক না কেন, মোদ্দা কথা এখনও বহাল তবিয়তে খেলা যাচ্ছে প্লেয়ার আননোন্স ব্যাটল গ্রাউন্ড। 

এর আগে টিকটক অ্যাপ বাতিল করেছিল ভারত সরকার। তা নিয়েও প্রবল হইচই হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর ভারতীয় সংস্থাই সেই অ্যাপ অধিগ্রহণ করে এদেশে নতুন করে প্রকাশ করে। পাবজি ব্যবহারকারীদের আশা, তাদের প্রিয় গেমের ক্ষেত্রেও সেরকমই কিছু হবে। গোটা বিশ্বে ভারতেই সর্বাধিক মানুষ এই গেমটি খেলে। বলা বাহুল্য, এর সিংহভাগই তরুণ প্রজন্মের। পাবজির নেশায় বুঁদ হয়ে পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে বাচ্চারা, এমন বহু অভিযোগ করেছেন এ দেশের বাবা-মায়েরা। এমনকী এই খেলার পেছনে অর্থ খরচ করতে অপরাধও করে ফেলেছে বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক। 

অনেকদিন ধরেই তাই এই খেলাটি বন্ধ করতে সরকারের কাছে আবেদন জমা পড়েছে। অবশেষে তা বন্ধ করা হলেও দেখা যাচ্ছে আদতে এখনও খেলা যাচ্ছে পাবজি। গেমটির তরফে কোনও নতুন নোটিফিকেশনও দেখতে পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয় নিয়েই তাই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + 20 =