নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে বেহাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷ বাড়ছে স্বাস্থ্যখাতের ব্যয়৷ রাজকোষের হালও খারপ৷ যার কোপ পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বর্ধিত ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স (ডিএ) বা মহার্ঘ ভাতায়৷ আগামী দেড় বছরের জন্য ডিএ বন্ধের ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এই সময়ের মধ্যে বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা পাবেন নাপেনশনভোগীরাও৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সোচ্চার হল একাধিক সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুধু তাঁরাই আহত হননি৷ আঘাত হানা হয়েছে অর্থনীতির উপরেও৷
লকডাউন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হাজার হাজার মানুষ৷ বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা৷ কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটচে চলেছে একাধিক সংগঠন৷ সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কর্মী সংগঠনগুলির পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে সংঘাত বড়ছে বিরোধী শিবির এবং শিল্পমহলেরও৷ ইন্ডিয়ান পাবলিক সার্ভিস ফেডারেশন (আইপিএফএস)-এর সাধারণ সম্পাদক প্রেম চান্দ বলেন, ‘‘ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা বন্ধের এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জীবনযাত্রার উপর গুরুতর প্রভাব পড়বে৷ জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হবে৷ সরকার চাইছে ব্যয় না করেই অর্থনৈতিক কার্যকলাপ পুনরায় শুরু করতে৷ কিন্তু ব্যয় ছাড়া অর্থনীতির পুনর্জীবন সম্ভব নয়৷’’
চান্দ জানান, ডিএ চালু রাখার আর্জি জানিয়ে গত এক সপ্তাহে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ গত ২৩ এপ্রিল একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ এর জুন পর্যন্ত ১৮ মাস বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না। একই নিয়ম কার্যকর হবে পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রেও। ২০২১ সালের জুলাই থেকে যখন ডিএ দেওয়া হবে, তখন সংশোধিত হারে দেওয়া হবে। তবে কোনও বকেয়া দেওয়া হবে না৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে৷ এদিকে, মহার্ঘ্যভাতা বন্ধ করে সরকারের সঞ্চয় হবে ৩৭,৫০০ কোটি টাকা৷ রাজ্যগুলির লাভ হবে ৮২,৫০০ কোটি টাকা৷