নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছে দেশ কিন্তু এখন আবার রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ভারতের তৃতীয় ঢেউ আসবেই এবং তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই। তবে এরই মধ্যে করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির ‘ডেল্টা প্লাস’ সংক্রামিত করল ২২ জনকে। তাহলে কি দেশে ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত মিলল? উঠে যাচ্ছে প্রশ্ন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস নতুন এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের ১৬ জন, এবং কেরল আর মধ্যপ্রদেশ মিলিয়ে ৬ জন। এই নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক রিপোর্ট বেরিয়েছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে এই ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যাকসিনকে পরাস্ত করতে সক্ষম। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করছে, ভারতের দুটি ভ্যাকসিন এই নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়তে সম্পূর্ণ সক্ষম। যদিও দুটি ভ্যাকসিনের ক্ষমতা কতটা সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে আশঙ্কার ব্যাপার, ভারত ছাড়াও পৃথিবীর মোট নয়টি দেশে এখন এই করোনাভাইরাস নতুন প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। দেশগুলির মধ্যে রয়েছে পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, চিন এবং রাশিয়া। করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট বেরিয়েছে। তাই এই নতুন প্রজাতি নিয়ে এখন নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ‘পুরষরা রোবট নয়, মেয়েদের স্বল্প পোশাক দেখে প্রভাবিত হতেই পারে’, ফের বিতর্কে ইমরান
এদিকে আজই ছাড়পত্রের পাঁচ মাস পর কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এনেছে ভারত বায়োটেক। জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। দেশের ২৫,৮০০ জনের ওপরে এই টিকা ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে এটি ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী এবং এই ভ্যাকসিনের গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু এই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত রিপোর্ট এতদিন পেশ করা হয়নি তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিনের তালিকায় এটি ছিল না। তবে এখন আশা করা হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সেই তালিকায় স্থান পাবে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।