দেওয়ালি কাটতেই ‘মারাত্মক’ স্তরে দিল্লির দূষণ, বাড়ছে উদ্বেগ

দেওয়ালি কাটতেই ‘মারাত্মক’ স্তরে দিল্লির দূষণ, বাড়ছে উদ্বেগ

0e825e69428e15c19ceef1da8b594d84

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট ও জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলির রাতে বাজি পুড়ল রাজধানী দিল্লিতে৷ বার বার সতর্ক করার পরও আটকানো যায়নি আতজবাজির ব্যবহার৷ বেশ কিছু এলাকায় বাজি পুড়েছে প্রচুর পরিমাণ৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা দিল্লিকেই৷ বাতাসে মিশেছে বিষ৷ বায়ুমান সূচক (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স) অনুসারে দিল্লির বাতাস ‘সিভিয়ার জোনে’ (মারাত্মক) পৌঁছে গিয়েছে৷ রবিবার সকাল ৭টায়  রাজধানীর বায়ুমান সূচক ছিল ৪৬৮৷ 

আরও পড়ুন- একরত্তি শিশু-হবু মায়েদের মুখে খাবার তুলে দিতে হবে, নৌকা নিয়ে একাই ১৮ কিমি পথ পাড়ি দেন রেলু

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ৩টের পর থেকে দিল্লির বায়ুমান সূচক ‘মারাত্মক’ পর্যায়ে পৌঁছে যায়৷ সন্ধ্যের পর থেকে যত সময় এগিয়েছে, মান তত খারপ হয়েছে৷ সন্ধে ৬ টার সময় বায়ুমান সূচক ৪২৩ এ পৌঁছয়৷ এর পর যত বেশি বাজি পুড়েছে, তত খারাপ হয়েছে বাতাসের মান৷ মধ্যরাতে তা ৪৬০ এ পৌঁছয়৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বাতাসের মান পর্যবেক্ষক কেন্দ্র সিস্টেম অফ এয়ার কোয়ালিটি এবং ওয়েদার ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ (SAFAR) জানাচ্ছে, সংক্রমণ সত্ত্বেও গত চার বছরে দেওয়ালির পরবর্তী সপ্তাহগুলিতে দিল্লি যে দূষণ দেখেছে, এই বার তার চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হতে পারে৷ পূর্বাভাস রয়েছে, রবিবার দুপুর থেকেই বাতাস বইতে শুরু করবে৷ ফলে জমে থাকা দূষণের কণাগুলি ছড়িয়ে পড়ত পারবে৷ 

আরও পড়ুন- ইনিও জনপ্রতিনিধি, চারবারের বিধায়ক হয়েও নেই পাকা বাড়ি, দামি গাড়ি

দিল্লিতে বায়ু দূষণের সমস্যা দীর্ঘ দিনের৷ সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে৷ দিল্লির বাতাসে বেড়ে গিয়েছে পিএম২.৫ এর পরিমাণ৷ এই কণা ফুসফুসে ঢুকে হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ এছাড়াও মারণ ক্যান্সারের প্রবণতাও বাড়িয়ে দেয়৷ রাজধানীতে এই জাতীয় কণার পরিমাণ ৩২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে লাগোয়া রাজ্যের ফসলের গোড়া পোড়ানোর ফলে৷ কোভিড পরিস্থিতিতে এই দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা৷ শীতকালে দূষণের মাত্র এমনিতেই বৃদ্ধি পায় তার উপর বাজির দূষণ কোভিড পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলবে বলেই আশঙ্কা৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *