ভাড়া নিয়ে বিবাদ, কাশ্মীরি মহিলাকে ‘জঙ্গি’ বলে পেটালেন বাড়ির মালকিন!

ভাড়া নিয়ে বিবাদ, কাশ্মীরি মহিলাকে ‘জঙ্গি’ বলে পেটালেন বাড়ির মালকিন!

নয়াদিল্লি:  দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারী। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রোজগার নিয়ে চিন্তার সাধারণ মানুষ। সমস্যা প্রত্যেকের। তা বলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে কাউকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা পেতে হয় না হয়তো! তবে কেউ যদি কাশ্মীরি হন, তাহলে তাকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেওয়া যায়, হয়তো এমনটাই ইঙ্গিত মিলছে দিল্লির এই ঘটনায়। ভাড়া নিয়ে বিবাদের জেরে এক কাশ্মীরি মহিলাকে সন্ত্রাসবাদী বলে দিলেন বাড়ির মালকিন। ইতিমধ্যেই সেই মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। জানিয়েছেন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে, এমনকি সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছে।

নূর ভাট নামের ওই মহিলা টুইটারে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ভাড়া নিয়ে বাড়ির মালকিনের সঙ্গে তার বিবাদ হয়েছিল। তারপর হঠাৎ গতকাল রাতে ওই মহিলা অন্য একজন পুরুষকে নিয়ে এসে তার ঘরে জোর করে ঢুকে পড়ে এবং তাকে মারধর করতে শুরু করে। নূরের বক্তব্য, ওই ব্যক্তিকে তিনি কোনদিন দেখেননি। তিনি হঠাৎ তাকে সন্ত্রাসবাদী বলতে শুরু করেন। নূর দাবি করেছেন, শুধুমাত্র তিনি কাশ্মীরি বলেই তাকে এই ভাবে অপমান করা হয়েছে। টুইটারে একাধিক টুইট করে ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন নূর।

তিনি আরো জানিয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে ওই বাড়ির মালকিন তার ঘরে ঢুকে জামা কাপড়, বিভিন্ন কাগজপত্র এমনকি পাসপোর্ট পর্যন্ত ঘেঁটে দেখেছেন। এমন প্রমাণও নাকি তার কাছে রয়েছে। এমনকি ওই মালকিন নাকি তাকে হুমকি দিয়েছেন যে, সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার মুখ পুড়িয়ে দেবেন এবং তারপর ব্যালকনি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবেন! তবে শুধু যে তাকে সন্ত্রাসবাদী বলা হয়েছে এমনটা নয়। নূরের কথায়, তাকে, তার বাবাকেও সন্ত্রাসবাদী বলেছেন ওই মহিলা। এমনকি এও বলা হয়েছে, তারা নাকি এই দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নূরের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩২৩ এবং ৪৫৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নূর ভাট গত জুন মাসে এই ফ্ল্যাটে শিফট করেছিলেন, প্রথম থেকেই তিনি ভাড়া এবং ইলেকট্রিসিটি বিল দিতে পারেননি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দিল্লি কমিশন ফর ওয়মেন দিল্লি পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *