নয়াদিল্লি: জেএনইউ কাণ্ডে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে লোহার রড হাতে একটি মেয়েকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। মেয়েটির মুখ ঢাকা। মেয়েটি পরেছিল চেক শার্ট। ৫ জানুয়ারি তারিখের রাত্রেই অনেক নেটিজেন দাবি করেন, এই মেয়েটি অবিভিপির সদস্য কোমল শর্মা। কিন্তু সেভাবে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিছু কিছু দেখে সোশ্যাল মিডিয়া অনুমান করে মাত্র। কিন্তু কয়েকটি আগে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেন, মুখঢাকা মেয়েটিই কোমল শর্মা। এরপরেও দিল্লি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছিল না। এমকী অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ কোমলকে তাদের সদস্য হিসেবে মানতে অস্বীকার করে। তবে এক প্রকার চাপে পড়ে দিল্লি পুলিশ স্বীকার করে, সেদিন কোমল শর্মা সহ বেশ কিছু বহিরাগত মুখ ঢেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর হামলা করে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশ কোমল শর্মা ছাড়াও অক্ষত অবস্থী ও রোহিত শাহ নাম দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৬০ ধারায় (শান্তিভঙ্গ) মামলা রুজু করেছে। তিনজনকে সমনও পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, তিনজনেরই কোনও হদিশ নেই। ফোনও বন্ধ রয়েছে। এদের মধ্যে অক্ষত ও রোহিত একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে নিজেদের অপরাধ কবুলও করেছে। সেই ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশইত হতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সেই সঙ্গে ভাইরাল হয় কোমল শর্মার একটি ভয়েস ক্লিপ। সেই ক্লিপ তিনি তাঁর সহপাঠীকে ইনস্টাগ্রামে পাঠিয়েছিলেন। যাতে তিনি বলথেন, ওই সহপাঠী যেন কাউকে না বলেন যে ৫ জানুয়ারি হস্টেলে হামলার ঘটনায় কোমল জড়িত।
কোমল যে সংগঠনের সদস্য, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন দিল্লি এবিভিপির সম্পাদক সিদ্ধার্থ যাদব। তিনি জানিয়েছেন, কোমলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। তবে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। এমনকি সে নিজের সবকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়েছে। এদিকে, দিল্লি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) আরও কয়েকজন পড়ুয়াকে জেরা করেছে। তাঁরা আইসা এবং এসএফআইয়ের সদস্য। সুচেতা তালুকদার এবং প্রিয়া রঞ্জনকে দুঘণ্টা ধরে জেরা করেছে পুলিশ। এঁরাও সেদিনের ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন।