দিল্লির রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার বিপুল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর

দিল্লির রেস্তোরাঁ থেকে উদ্ধার বিপুল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর

নয়াদিল্লি: করোনাকালে অক্সিজেন সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। অক্সিজেনের অভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুমিছিল৷  পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তেমনই জাঁকিয়ে বসছে অসাধু ব্যবসা৷ দেদার মুনাফার লোভে দেশজুড়ে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি কারবার৷ করোনার দাপটে বেহাল দিল্লিতে অক্সিজেনের আকাল যত প্রকট হয়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে চলছে কালোবাজারি। অবস্থা আয়ত্তে আনতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে প্রশাসন৷ গত দু’দিন ধরে রাজধানীর খান মার্কেট এলাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ৫২৪টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তার মধ্যে একটিমাত্র রেস্তোরাঁ থেকেই পুলিশের জালে উঠেছে ৯৬টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খান মার্কেটের একাধিক রেস্তোরাঁয় বাক্সবন্দি অবস্থায় মজুত করে রাখা ছিল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরগুলো৷ পুলিশ জানিয়েছে, এই রেস্তোরাঁগুলোর মালিক নবনীত নামে এক ব্যক্তি৷ পুলিশি অভিযানের পর থেকেই পলাতক নবনীত ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার৷ তাঁদের সন্ধান পেতে তল্লাশি চালু করেছে দিল্লি পুলিশ। নবনীত ও তাঁর ব্যবসার শরিকের খোঁজ না-পেলেও এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরগুলো মওকা বুঝে চড়া দামে বিক্রি করত নবনীত ও তাঁর চক্র। মানুষের চাহিদার সুযোগ নিয়ে এক-একটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর বিক্রি করা হত প্রায় ৭০ হাজার টাকায়৷ কালোবাজারি করার জন্য রেস্তোরাঁর ভিতরে মজুত করে রাখা ছিল বাক্স বাক্স অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর৷

নয়াদিল্লিতেই গত তিন সপ্তাহে ৭৫টি কালোবাজারি চক্রকে জালে তুলেছে পুলিশ৷ চড়া দামে অক্সিজেন-ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে ৯০ জনেরও বেশি। তার পরও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মানুষের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে মুনাফা লুটছেন দেদার৷ দিল্লির হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন সংকট ভয়ংকর আকার নেওয়ায় বাধ্য হয়েই কালোবাজারির শিকার হচ্ছেন মানুষ৷ প্রিয়জনের প্রাণ বাঁচাতে মরিয়া পরিজন অগ্নিমূল্যে কিনছেন অক্সিজেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =