নয়াদিল্লি: বাংলাদেশ প্রথম, দ্বিতীয় পাকিস্তান, ভারত তৃতীয়৷ না অলিম্পিক বা কমনওয়েলথে পদক জেতার খবর নয়৷ সাধুবাদ দেওয়ার মতোও নয়। বরং কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে। বায়ুদূষণে তিন নম্বরে ভারত। মঙ্গলবার বিশ্বে বায়ুদূষণ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার নামে সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা। মার্কিন এই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বছরে দূষণমাত্রা ১৪১ ৷
একটি রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের সবথেকে দূষিত ৩০টি শহরের মধ্যে ২২টি ভারতেরই। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। যদিও বিগত বছরের তুলনায় ওই শহরে বায়ুদূষণের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালে দীপাবলির পর দিল্লির বায়ুদূষণ চিন্তায় ফেলেছিল সরকারকে৷ সেজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করা হয়েছিল৷ ভারতে বায়ুদূষণের ভয়াবহ ছবিটি ফুটে উঠেছে ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট ২০২০’ শীর্ষক রিপোর্টে৷ ১০৬টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ৩০টি শহরের মধ্যে দিল্লি-সহ ২২টি ভারতের।
দিল্লি ছাড়া বাকি শহরগুলির মধ্যে রয়েছে, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, বিসরাখ, জালালপুর, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, কানপুর, লখনউ, মেরঠ, আগ্রা, মুজফ্ফরনগর, ভিওয়ারি, ফরিদাবাদ, জিন্দ, হিসার, ফতেহাবাদ, বান্ধওয়ারি, গুরগাঁও, যমুনা নগর, রোহতক, দারুহেরা, মুজফ্ফরপুর। ভারতে বায়ুদূষণের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ তৈরি, কলকারখানার কাজ, চাষবাস ইত্যাদিও দূষণের অন্যতম কারণ। ২০১৭ সালে ‘ল্যান্সেট’ প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বায়ুদূষণে প্রতি মিনিটে দু’জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ প্রত্যেক বছর সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এমনকি করোনার কারণে বিশ্বজুড়ে লকডাউনের সময় বায়ুর দূষণমাত্রা অনেকটাই কমেছিল ৷ এমনকি করোনায় মৃত্যুর পিছনে অনেকাংশেই বায়ুদূষণকে দায়ী করা যায় ৷ আইকিউএয়ারের রিপোর্ট বলা হয়েছে, এই মৃত্যুগুলিকে রোখা যেত, যদি মানুষের তৈরি এই দূষণ কমানো যেত ৷