নয়াদিল্লি: ২০২০ সালের দিল্লির সংঘর্ষের কথা এখনো কেউ ভুলতে পারেননি আর ভবিষ্যতেও ভুলতে পারবেন বলে মনে হয় না। সেই দিল্লির সংঘর্ষে অভিযুক্ত হিসেবে বন্দী হয়েছিলেন ছাত্র সংগঠনের কর্মী দেবাঙ্গনা কলিতা, আসিফ ইকবাল তানহা এবং নাতাশা নারওয়াল। ইউএপিএ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আজ তাদের জামিন দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
দিল্লি সংঘর্ষের পরে মে মাসে দিল্লি পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করা থেকে শুরু করে বেআইনি জমায়েত, দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া এবং ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল। সেই প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করার পর গত সেপ্টেম্বর মাসে এই ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেখানে ১৭ হাজার ৫০০ পাতার চার্জশিটে ১৫ জনের নাম ছিল যারা প্রত্যেকেই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। আজ এই মামলার শুনানিতে পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, চার্জশিটে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে দাঙ্গার সরাসরি সম্পর্ক ছিল। দাঙ্গা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। যে দুটি জায়গায় দাঙ্গা করার জন্য গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল সেখানে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। উল্লেখ্য, কলিতা এবং নারওয়াল ‘পিঁজরা তোড়’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
দিল্লি পুলিশের আরও দাবি ছিল, যারা নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের উদ্দেশ্য প্রথম থেকেই গণতন্ত্র বিরোধী ছিল। তারা প্রথম থেকেই হিংসায় উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এবং রাস্তা অবরোধ করা থেকে শুরু করে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার মত কাজ করে গিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। যদি আজ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যে তিনজন ছিল তাদের প্রত্যেককে জামিন দেওয়া হয়েছে।