নয়াদিল্লি: অনেক আগে থেকেই ইঙ্গিত মিলেছে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসছে ভারতে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এবার শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকবে। সেই প্রেক্ষিতে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে বৈজ্ঞানিক এবং চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। তারা প্রশ্ন তুলেছে এই টিকা আদৌ ২ থেকে ১৮ বছরের বয়সীদের জন্য নিরাপদ কিনা।
সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ভারত বায়োটেককে এই ঠিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ট্রায়ালে ছাড়পত্র দিয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট সেই অনুমোদনের স্থগিতাদেশ না দিলেও টিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জানতে চাওয়া হয়েছে এই টিকা আদৌ নিরাপদ কিনা। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থা কে এই ব্যাপারে নোটিশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে’ কেন্দ্র এবং ভারত বায়োটেককে। উল্লেখ্য, ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল এই বিশেষ বয়ঃসীমার ৫২৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই টিকার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার পরীক্ষা করা হবে। ২৮ দিনের ব্যবধানে দু’টি টিকা প্রয়োগ করা হবে স্বেচ্ছাসেবীদের উপর। সে ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
এদিকে, কোভিশিল্ড টিকা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে কারণ, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বেধে গেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে ‘দা ন্যাশনাল কমিটি অন সিরিয়াস এডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমুনাইজেশন’ বা এইএফআই। তারা জানাচ্ছে, ভারতের প্রতি ১০ কোটি টিকার মধ্যে মাত্র ৬১ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারতে এই সংখ্যা অনেক কম বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনা শুধুমাত্র কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই হয়েছে, কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হয়নি বলে জানিয়েছে তারা।