নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশকে তুলোধনা করলেন দিল্লি হাইকোর্ট। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, চুরাশির মতো আর কোনও দাঙ্গা চাই না। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে দুষলেন।
দিল্লির সংঘর্ষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লির হাইকোর্টে। সেখানেই দিল্লি পুলিশকে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য তিরস্কার করেন বিচারকরা। বিচারপতি এস মুরলীধর রাও এবং তালওয়ান্ত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শোনে। এদিন দিল্লি পুলিশের হয়ে সওয়াল করেন তুষার মেহেতা। তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে হাতিয়ায় করে আদালত জানায়, দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে পরামর্শ দিন, যে তিনজন বিজেপি নেতা উসকানি মূলক মন্তব্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিন দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডেপুটি কমিশনার রাজেশ দেও বলেন, হিংসার ভিডিও তাঁরা দেখেছন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের কোনও উসকানি মূলক মন্তব্য তাঁরা দেখেননি।
রাজেশ দেওকে তিরস্কার করে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, অফিসে অনেক টিভি আছে। বিষয়টিকে লঘু না করে এইসব উস্কানি মূলক মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে দেখা হোক। কপিল মিশ্রা, অনুরাগ ঠাকুর ও প্রবেশ বর্মার ভিডিও গুলো খুঁটিয়ে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এরপরেই আদালতে কপিল মিশ্রার ভিডিও চালানো হয়। প্রসঙ্গ তোলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার বিতর্কিত বয়ানবাজিরও। আদালতের তরফে তিন জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন।
শুধু তাই নয়, আদালতের তরফে জানানো হয়, আক্রান্তদের দ্রুত সহায়তা করতে হেল্পলাইন খুলতে হবে। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে দিল্লি পুলিশকে। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি জানিয়েছেন, আর একটা চুরাশির দাঙ্গা হোক, সেটা আমরা কখনই চাই না। অন্তত দিল্লি হাইকোর্টের সামনে এই ধরণের কোনও সংঘর্ষ কখনই বরদাস্ত করা হবে না।