নয়াদিল্লি: এক বিদেশিনীকে ধর্ষণের মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ করল দিল্লি হাইকোর্ট। বলা হয়েছে, মহিলাদের যৌনাঙ্গে বীর্যের উপস্থিতি না থাকলেও, শুধুমাত্র পেনিট্রেশন হলেই তাকে ধর্ষণ বলা যাবে। অর্থাৎ সিমেনের নমুনা পাওয়া যাক আর না যাক, তাতে ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে হয়ে যাবে না। ২০১৪ সালে এক নাইজেরিয়ান মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল দু’জনের বিরুদ্ধে। তাদের ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়ে এমনই জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
এই মামলায় ডিএনএ পরীক্ষায় সিমেনের নমুনা মেলেনি। কিন্তু তাতে আদালত এটা নামতে রাজি নয় যে ধর্ষণ হয়নি। বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, জোর করে মেয়েদের যৌনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানো ধর্ষণই বটে। তাই ধর্ষণের অপরাধ প্রমাণ করতে বীর্যের উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে না। সেই প্রেক্ষিতেও বিদেশিনীকে ধর্ষণ করায় অভিযুক্ত দু’জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জনকপুরীর ডিস্ট্রিক্ট সেন্টার থেকে ফেরার সময়ে ওই নাইজেরিয়ান মহিলাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে দু’জনের বিরুদ্ধে। এমনকি শুধু ধর্ষণ নয়, মহিলার সঙ্গে থাকা মূল্যবান সামগ্রী লুঠও করে তারা বলে অভিযোগ। তারপরই পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা এবং তারা গ্রেফতার হয়।