৩ লক্ষ ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে আহার যোগাচ্ছে বাংলা সাহিব গুরুদ্বরা

করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে প্রতি মুহূর্তে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে৷ বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে৷ দিনের পর দিন অনাহারে কাটাতে হয়েছে৷ তাঁদের সঙ্গে না ছিল টাকা-পয়সা,  খাবার-দাবার, আর না ছিল মাথার গোঁজার আশ্রয়৷ এই সংকটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই হতদরিদ্র মানুষগুলির পাশে দাঁড়ায় বহু সহৃদয় মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ লকডাউনের শুরু থেকেই ক্ষুদার্থ মানুষগুলোর মুখে আহার তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন তাঁরা৷ এমনই এক কাহিনী রয়েছে দিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বরায়৷ 

নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনে প্রতি মুহূর্তে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে৷ বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছে৷ দিনের পর দিন অনাহারে কাটাতে হয়েছে৷ তাঁদের সঙ্গে না ছিল টাকা-পয়সা,  খাবার-দাবার, আর না ছিল মাথার গোঁজার আশ্রয়৷ এই সংকটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই হতদরিদ্র মানুষগুলির পাশে দাঁড়ায় বহু সহৃদয় মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ লকডাউনের শুরু থেকেই ক্ষুদার্থ মানুষগুলোর মুখে আহার তুলে দেওয়ার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন তাঁরা৷ এমনই এক কাহিনী রয়েছে দিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বরায়৷ 

লকডাউনের শুরু থেকে হাজার হাজার মানুষকে খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করে চলেছে দিল্লির এই গুরুদ্বরা৷ প্রথমে ৪০ হাজার মানুষের কাছে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছিল গুরুদ্বরা কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না৷ কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন, আরও বেশি মানুষের জন্য তাঁদের খাবার পৌঁছে দিতে হবে৷ এর পর শুরু হয় ৮০ হাজার মানুষের জন্য রান্না৷ পরে তা বেড়ে ১ লাখে পৌঁছয়৷ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর, পরিস্থিতির বিচারে আরও বেশি মানুষের জন্য রান্না শুরু করেন তাঁরা৷ বর্তমানে ৩ লক্ষ মানুষের মুখে আহার জোগাচ্ছে দিল্লির বাংলা সাহিব গুরুদ্বরা৷ তাঁদের একটাই লক্ষ্য, কেউ যেন ভুখা পেটে না ঘুমায়৷

মন্দিরের গেস্ট হাউজে থাকা ৩৬ জন রাঁধুনি মিলে প্রতিদিন চালাচ্ছেন এই বিশাল কর্মযজ্ঞ৷ সেই ২৫ মার্চ থেকে পরিবারের সঙ্গে দেখা হয়নি তাঁদের৷ প্রিয় মানুষদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে মন চাইলেও, এখন আর বাড়িতে ফিরতে চান না তাঁরা৷ ভোর ৩টের সময় উঠে গ্যাস জ্বালান গুরুদ্বরার হেড কুক বলবীর সিং৷ সকাল ৯টার মধ্যে তৈরি হয়ে যায় ৩৫ হাজার মানুষের খাবার৷ বলবীর বলেন, ‘‘আমরা এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ালে ভগবানও আমাদের আশীর্বাদ করবে৷’’ টানা ১৮ ঘণ্টা নিরলস ভাবে কাজ করে যান তাঁরা৷  

প্রতিদিন তৈরি করা এই খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় দিল্লির বিভিন্ন সরকারি ত্রাণ শিবির এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা এভাবেই মানুষের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে গুরুদ্বরা কর্তৃপক্ষ৷ তাঁদের এই মানবিতাকে কুর্নিশ জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তায় ছেয়ে গিয়েছে টু্ইটার৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *