নয়াদিল্লি: তরুণ তরুণীদের মদ্যপানে বরাবরই কাজ করে ভয়, কখনো সেটা হয় প্রশাসনের, কখনো বা অভিভাবকের। অভিভাবকের কথা জানা নেই, তবে আপাতত প্রশাসন যে মদ্যপানে খুব একটা বাঁধা দিতে পারবে না, তা বলাই যায়। দিল্লিতে করা হয়েছে তেমন ঘোষণাই।
এবার থেকে ২১ বছর বয়স পেরোলেই করা যাবে মদ্যপান, এদিন এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির মন্ত্রীসভা থেকে। অর্থাৎ রাজধানীতে এখন থেকে একুশোর্দ্ধ যুবক যুবতীর মদ্যপান আইন স্বীকৃত হল। এতদিন মদ্যপানের ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ২৫ বছর। এবার সেটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার এই নতুন আবগারি নীতি অনুমোদন করেছে দিল্লির মন্ত্রীসভা। ফলে একুশ পেরোনো তরুণ তরুণীদের মদ্যপানে আর কোনো প্রশাসনিক চোখ রাঙানির ভয় করতে হবে না।
সোমবার দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নতুন সরকারি নীতির কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান, রাজধানীতে আর কোনো মদের দোকান সরকারি ভাবে চালানো হবে না। তাঁর কথায়, “মদের দোকান চালানো সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। দিল্লিতে লাইসেন্সবিহীন কোনও মদের দোকান আর চালানো যাবে না।” এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য হল, দিল্লিতে এযাবৎ যে সমস্ত মদের দোকান চালু ছিল তার প্রায় ৬০ শতাংশই চলতো সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু এদিন এই প্রচলিত নিয়মে আনা হয়েছে বদল। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া এদিন জানান, “আজ নতুন আবগারী নীতি মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে। দিল্লিতে নতুন কোনো মদের দোকান খোলা যাবে না, আর সরকারের তরফেও আর কোনো দোকান চালানো হবে না।”
মূলত মদ ব্যবসায় দুর্নীতি দমন করতেই দিল্লি সরকারের তরফে রাজধানীতে এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনীশ সিসোদিয়া। মদ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়টিও নজরে রাখা হয়েছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।