নয়াদিল্লি: উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। দিল্লির নিজামুদ্দিনের জমায়েতে যোগ দেওয়া ২৪ জন মারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ১৫০০-১৭০০ জন মার্কজ বিল্ডিংয়ের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১০৩৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৩৩৪ জনকে হাসপাতালে এবং ৭০০ জনকে কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে। জমায়েত আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আয়োজকরা জঘন্য অপরাধ করেছে। ৫ জনের বেশি জমায়েতের অনুমতি নেই দিল্লিতে, তাও এমন কাজ করেছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-রাজ্যপালকে আমি চিঠি লিখেছি। এফআইআর রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার।
গত ২২ মার্চ রবিবার দেশ জুড়ে ‘জনতা কারফিউ’ পালন হয়েছে। ২৪ তারিখ দেশ জুড়ে ঘোষণা হয়েছে লকডাউন। কিন্তু তার পরেও দিল্লির মার্কজ নিজামুদ্দিন মসজিদে ছিলেন শয়ে শয়ে দেশ-বিদেশি মানুষ। ওই জমায়েতের জেরেই দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, নিজামুদ্দিনের তাবলিঘি জামাত ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বিদেশিরা ভিসা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। করোনাভাইরাস এবং নিজামুদ্দিনের মার্কজ বিল্ডিংয়ের ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন কেজরিওয়াল, দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
অন্য দিকে, দিল্লিতে ফের মহল্লা ক্লিনিকের এক চিকিৎসকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে৷ ওই চিকিৎসক নিয়মিত রোগী দেখেছেন বলে জানা গিয়েছে৷ তাই ১৮ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত ওই চিকিৎসক যে সব রোগী দেখেছেন, তাঁদের ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এরআগেও দিল্লিতে একজন মহল্লা চিকিৎসকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল৷ ওই চিকিৎসকের মেয়ে ও স্ত্রীর শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়৷ তারপরেও এই চিকিৎসক যেসমস্ত রোগী দেখেছিলেন, তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷