আজ বিকেল: জল কাদায় মাখামাখি হয়ে থাকতে কারোরই ভাল লাগে না। একবার চিন্তা করুন তো মুম্বইয়ের পরিস্থিতি, বিপুল বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন দেশের বাণিজ্যনগরী। একটার পর একটা দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই জলয্ন্ত্রণা অতিষ্ট নাগরিকদের ভোগান্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে কাদা মাখিয়ে ভূত করে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক। মুম্বই-গোয়া হাইওয়ের অবস্থা শোচনীয়। রাগে পূর্ত দপ্তরের এক সাব ইঞ্জিনিয়ারকে কাদায় স্নান করিয়ে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক নীতেশ রানে ও তাঁর অনুগামীরা। কাদা মাখানোর পর ওই ইঞ্জিনিয়ারকে একটি সেতুর খুঁটির সঙ্গে তাঁরা বাঁধতেও চেষ্টা করেছিলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কানকাভেলির।
জানা গিয়েছে,কানকাভেলির কাছে গাদ নদীর ওপরে একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সময় বয়ে গেলেও নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়র কাজ শেষের তদারক তেমন করছেন না। এদিকে বর্ষা চলে আসায় স্থানীয় মানুষের যাতায়াত সমস্যা বেড়েছে। এখন তো মুম্বই জলের তলায়, এমতাবস্থায় বানভাসি মুম্বইকে নির্মাণকার্য তদারক করতে গিয়েছিলেন নীতেশ রানে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কানকাভেলি পুর পরিষদের সভাপতি ও এনডিএ-র শরিক মহারাষ্ট্র স্বাভিমান পার্টির সমর্থকরা। পথে তাঁদের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ শেদেকরের তর্ক হয়। তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশ্ন করেন, রাস্তার এমন ভাঙাচোরা অবস্থা কেন? মানুষকে কেন প্রতিদিন কাদার মধ্যে দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়?
তারপরেই নীতেশ বলেন, মানুষকে তো রোজ রাস্তা চলতে গেলেই কাদা মাখতে হয়। এবার তুমি দেখ, কাদা মাখতে কেমন লাগে। এই বলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। তাঁর অনুগামীরা প্রকাশের গায়ে এক বালতি কাদা ঢেলে দেন।তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারের কাছে জানতে চান, পুরোকে কানকাভেলিকে কাদায় ডুবিয়ে দেওয়ার অধিকার তোমাদের কে দিয়েছে? কয়েকজন মিলে বিধায়ককে টেনে কাদার ওপরে নিয়ে যান। একসময় দেখা যায়, নীতেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে সেতুর খুঁটির সঙ্গে বাঁধার চেষ্টা করছেন। যাইহো তৃতীয় পক্ষের সবান্ধব উপস্থিতিতে এই বন্ধনকার্যে ব্যাঘাত ঘটে। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়র। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই নীতেশের নিন্দা করেন। নীতেশ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানের ছেলে। সরকারি কর্তাকে অপমানের জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।