নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এবার মেক ইন ইন্ডিয়া নীতির উপর জোর দিল কেন্দ্র৷ এদিন চতুর্থ দফার বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ‘‘কিছু অস্ত্রশস্ত্র কোনও ভাবেই বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে না। আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে৷ বরং এই অস্ত্র যাতে আমাদের দেশেই তৈরি করা যায়, তার উপর জোর দিতে হবে।’’
এদিকে, প্রতিরক্ষা খাতে বিদেশি বিনিয়োগের হার আরও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ বর্তমানের ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ এফডিআইয়ের পক্ষে কেন্দ্র। সেইসঙ্গে আয় বাড়াতে বাজারে ছাড়া হবে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির শেয়ার।
এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্পেয়ার পার্টস আমদানি করতে প্রতি বছর প্রচুর অর্থ ব্যায় হয়। কিন্তু এ বার থেকে সেগুলিও দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও জানান, ‘‘অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির কর্পোরেটাইজেশন করা হবে৷ কর্পোরেটাইজ মানেই প্রাইভেটাইজ করা নয়। বরং আরও পেশাদার করে তোলাই এর লক্ষ্য।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে কয়লা আছে৷ সারা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা ভান্ডার রয়েছে ভারতে৷ কিন্তু তার পরেও ভারতকে কয়লা আমদানি করতে হয়। সেই কারণেই কয়লা উত্তোলনে সরকারের একচেটিয়া আধিপত্য প্রত্যাহার করে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আরও বেশি করে কয়লা উত্তোলনে ছাড় দেওয়া হবে৷
সীতারমন জানান, প্রথমে ৫০টি কয়লা ব্লক নিলাম করা হবে। কয়লা উত্তোলনের পর তা মজুত করার জন্য পরিকাঠামো নির্মাণে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্র৷ নতুন ৫০০টি খনিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বাণিজ্যিক ভাবে কয়লা উত্তোলনে ছাড় দেওয়া হবে৷ সে ক্ষেত্রে রেভিনিউ বা প্রফিট শেয়ারিং মডেলে বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে কাজ করবে সরকার। তিনি আরও জানান, মাইনিং লিজের হস্তান্তরেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে নির্মলা বলেন, কোথাও কোথাও খনন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। যে সংস্থা প্রথমে খননের জন্য লাইসেন্স নিয়েছিল, তারা হয়তো উৎসাহ হারিয়েছে। সেই কারণে লাইসেন্স হস্তান্তরে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।