Aajbikel

মৃত্যুর সংখ্যা ৩০০-র দিকে! দুর্ঘটনাস্থলে রক্তের ছাপ, মরদেহ আর শুধুই হাহাকার

 | 
coromandal

কটক: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আশঙ্কার মতোই মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। শনিবার ভোর পর্যন্ত জানা গিয়েছিল যে মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। বেলা বাড়তেই সেই সংখ্যা ২৮০-তে গিয়ে পৌঁছেছে। এদিকে আহতের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই। গতকাল দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত টানা উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। রাত কাটিয়ে সকাল হতেই সেই কাজে গতি বেড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। দুর্ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি ধরা পড়েছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। 

দেশলাই বাক্সের মতো এদিক-ওদিক ছিটকে পড়ে আছে ট্রেনের একাধিক কামরা। ঠিক কোথায় কোথায় মরদেহ পড়ে আছে, কোথা থেকে কতজনকে আরও উদ্ধার করা যাবে সেটাই এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে যে সমস্ত কামরা ছিটকে পড়ে আছে তার সামনেই দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে পড়ে একাধিক দেহ। চারিদিকে শুধু চাপ চাপ রক্ত, ছিন্নভিন্ন দেহাংশ, মানুষের হাহাকার। রক্ত মাখা ব্যাগ, জলের বোতল এমনকি কবিতার খাতাও উদ্ধার হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। সকাল হতেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনা চাক্ষুষ করার জন্য। তারা দেখছেন, দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছেন তাদের কারও মাথায় হাত, কেউ হতাশ চোখে চেয়ে আছেন ছিটকে যাওয়া রেলের কামরাগুলির দিকে। 

প্রথমে জানা গিয়েছিল, মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে উলটে যায় ট্রেনটি। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত যেন স্পষ্ট হচ্ছে দুর্ঘটনার কারণ। মনে করা হচ্ছে, মোট তিনটি ট্রেন পড়ছে এই দুর্ঘটনার কবলে। আর কোনও ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়নি। মালগাড়ি এবং করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়াও এই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। মূলত ওই ট্রেন প্রথমে লাইনচ্যুত হয় এবং পাশের লাইনে থাকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে। তাঁর সেই ট্রেনের ইঞ্জিন উঠে যায় তারও পাশের ট্র্যাকে থাকা মালগাড়িতে। 

Around The Web

Trending News

You May like