কটক: ট্রেন দুর্ঘটনার আসল কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা অব্যাহত। এদিকে মর্গে একাধিক মৃতদেহ শনাক্ত হয়নি। করমণ্ডল ট্রেন দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পরেও যেন অন্ধকার। আর এবার জানা গেল, মৃতের সংখ্যাও আগের থেকে বেড়েছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত ৮১টি দেহ শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান হয়েছে। স্বজনহারারা বসে রয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য।
এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। আর এখন আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। অর্থাৎ আপাতত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে। যদিও এখনও একাধিক রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বহু মানুষ চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে তার কিঞ্চিৎ আশঙ্কা এখনও আছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ৮১টি অশনাক্ত দেহের কথা। আপাতত ভুবনেশ্বর এইমসে ৮১টি মৃতদেহ রাখা আছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এত মরদেহ একসঙ্গে রাখা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ দেহগুলিতে পচন ধরতে শুরু করেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মাঝেমধ্যেই রেল দুর্ঘটনা ঘটছে কেন? করমণ্ডল সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা | Train Accident” width=”789″>
তবে ইতিমধ্যেই বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে। দেহ বেশিদিন ধরে রাখার জন্য পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বিশেষ ধরনের কন্টেনার আনা হচ্ছে বলে খবর। তাহলে শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই মরদেহগুলি সঠিক পদ্ধতিতে রাখা যাবে। ওড়িশা প্রশাসন সূত্রে খবর, যে কন্টেনারগুলি আনা হচ্ছে তাতে একসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০টি দেহ রাখা যাবে। এক থেকে দু’বছর দেহ রাখতে চাইলেও সমস্যা হবে না।