টিকা নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মাত্র ০.৪ শতাংশের! বলছে সমীক্ষা

টিকা নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু মাত্র ০.৪ শতাংশের! বলছে সমীক্ষা

d274d4d0925cb59b637ca81cb47bb39b

নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দেশজুড়ে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে সরকার। তবে এই প্রেক্ষিতে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন ছিল যে টিকাকরণ কতটা ভাইরাস রুখতে সক্ষম হবে। যদিও প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন মৃত্যুর হার আগের থেকে অনেক বেশী কমিয়ে দেবে এবং সাম্প্রতিক সমীক্ষা সেটারই প্রমাণ দিচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর সদ্য যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর যারা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে মাত্র ০.৪ শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছেন, এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশকে।

আইসিএমআর রিপোর্ট বলছে, করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এমন ৬৭৭ জনের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। দেখা গিয়েছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু এড়ানো গিয়েছে এবং খুব অল্প সংখ্যক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। সুতরাং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আদতে নিজের কাজ করছে তা আরো একবার প্রমাণিত হলেও এই গবেষণায়। বিশেষজ্ঞদের একটাই বক্তব্য যে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য টিকাকরণ এক এবং একমাত্র উপায়। প্রসঙ্গত, এর আগেই আইসিএমআর জানিয়েছিল যে, ভ্যাকসিন দেওয়া ভারতীয়দের মধ্যে ৮০ শতাংশই করোনার ‘ডেল্টা’ প্রজাতির শিকার। 

আরও পড়ুন: ‘ল্যামডা’, বিজ্ঞানীদের ঘুম ওড়াচ্ছে নতুন এই করোনা প্রজাতি

একাধিক গবেষণার রিপোর্ট স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে অগাস্ট মাসের শেষ দিক থেকে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতেই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে ভারতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর থেকে শুরু করে একাধিক রিপোর্ট দাবি করছে যে ভ্যাকসিনেশন হতে পারে তৃতীয় ঢেউ রুখে দেওয়ার ব্রম্ভাস্ত্র। কিন্তু আইসিএমআর যে সমীক্ষা প্রকাশ করেছে তাতে অবশ্যই কপালে ভাঁজ পড়বে সকলের কারণ তারা বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অধিকাংশ যারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন তারা ‘ডেল্টা’ প্রজাতির কারণে। তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর এই, এই প্রযুক্তিতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সেই ৮০ শতাংশের মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অতএব শুরু থেকে যে দাবি করা হচ্ছিল যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনার বাড়বাড়ন্ত এত বেশি হবে না, আইসিএমআরের এই রিপোর্ট তাতেই সীলমোহর দিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *